একফালি চাঁদ, দেখো তুমি হে ঘৃণিত সমাজ।
ছোঁয়াচে হয়েছ তোমরা,
কই আমি তো দেখি না, গরীব!
কোর্তা নেই বাবার বছর তিনেক হলো,কাপড়ের পাড় ক্ষয়ে গেছে মা'র,
আমি তো বড় আ'রে,উদুর পিণ্ডি বুঁদের ঘাড়ে,
হাপিত্যেশ করছি,সমাজ আমায় ছাড়!
সময় আমায় বকার ছলে;বেকার,অকর্মণ্য বলে!!
একদম ছোট্ট দু’জোড়া চোখ বাকি আছে কর্তার,
মিনিয়ে কিছু বলছে গৃহিনীর আঁচলে লুকিয়ে মুখ,
নেই সম্বল;পকেটের নিম্নাংশ ইঁদুর-সমাজ দিয়েছে কেটে!
এদের ঈদ-আকাশ কালো মেঘে ঢাকা,বারণ আছে, উপবাস যেন হয় না শেষ;
এই পেটে আটি বাঁধা, চলুক বছর জুড়ে! নিশ্চুপ শ্মশান!!


এক ফালি চাঁদ,দেখো হে ঘৃণিত সমাজ।
ছোঁয়াচে হয়েছ তোমরা,
কই আমি তো দেখি না গরীব!
হাঁড়িতে যোগান নেই চালের,ভাত সে তো ঐ একফালি চাঁদ,
ক্ষিদে নেই পায়েসের,জদ্দা তো রং করা ভাত!
এই সকাল কেন ভাসে সূর্যে প্রশ্নবাণ,
রাতের গভীরে নাড়ী জ্বালাতন নাহি করে,থাকে চুপচাপ;
এই পেটে আটি বাঁধা, চলুক বছর জুড়ে! নিশ্চুপ শ্মশান!!


একফালি চাঁদ, দেখো হে ঘৃণিত সমাজ।
ছোঁয়াচে হয়েছ তোমরা,
কই আমি তো দেখিনা গরীব!
এ ক্ষিদে-শিশুকে মানিয়ে নেয় ঘুম,রক্তমাংসে কখনো হয়  না ব্যাশকম;
মৌলিক অধিকার তো বইয়ের পাতায়! উল্টানো হয়নি তা কোনদিন,
কয়েকটা ব্যাংক-সমিতির ঈদ আটকে আছে এহেনে,ওরে কলুর বলদ,তোর যে আছে কত ঋণ।
এই পেটে আটি বাঁধ; চলুক বছর জুড়ে! নিশ্চুপ শ্মশান!!


একফালি চাঁদ, দেখো হে ঘৃণিত সমাজ।
ছোঁয়াচে হয়েছে তোমরা,
কই আমি তো দেখিনা গরীব!
এত মসজিদ,মন্দির,গীর্জা আর প্যাগোডার সুর,
তোমার যে আকাশে মাথা-পা, চোখ সে তো নাহি দ্যাখে নিচ;একসুরে বলে দাও বালাই যা হ দূর!
কই সে মানবতা,জমা কাদায় পঁচে গ্যাছে হুশ,
মানব যে হয় নি মানুষ!
ওরে গরীব!
থাক পেটে আটি বেঁধে, চলুক বছর জুড়ে! নিশ্চুপ শ্মশান!!




নিরিবিলি, নবীনগর
২৪-৫-২০২০