নতুন করিয়া গাঁথিয়া মালা ওযুর স্নানে চল, আয় তোরা কে যাবি ডেরায় নামিছে কুসুম ঢল।
এক প্রহরে ঘুমের চ্যারাক জ্বালিয়া রাখিয়া মোর, কতদিন পর কাটিলো আমার অমানিশা এ ঘোর।
চাষীরে কহিলাম ডাকিয়া দিও যাইবার কালে মাঠে, সুবহে সাদেক পার হয় না যেন ভূবন ডুবিয়া তটে।
তিন দশকে মুক্তি আসিবে বিহান বেলার রোদে, দয়াময়  প্রভু,নাজাতে ডাকিয়া কহিলেন,মাফি মাঙো এ বিপদে।
ছটাৎ করিয়া ওযুর তহবিলে শীতল পানির হাঁড়ি, দে দে তোর বাহু বাড়িয়ে ভিজিয়ে রহমত দাড়ী।
কপালে তোর আল্লাহর সিজদাহ্,কন্ঠে বানী কোরআন;
মাদূরে হাঁটু ভেঙে দিয়ে জাগাই রাসূলের শিহরণ।
গড়িমসি করে বিছানায় আজ কাটিয়ে দিয়ে বেলা,নাইবার নামি পানিতে কত তরঙ্গ ঢেউ খেলা।
ডুবে যাহা করি মনেতে কাতর ভয় করি দয়াময়; গিলি না পানি,মুখে কুলুপ আটি,রোজা নাহি যেন ক্ষয়।
কহিছেন খোদা, নিজ হস্তে নাকি দিবেন করিয়া জয়; তোমাদের আর কি থাকিবে সংকোচ,দিলে নাহি জাগে ভয়।
নতুন বৎসর আইবো কবে! পাইবি কি জামানত? রেখে দে সময় থাকিতে উষা প্রভুর এই আমানত।
মরিলে তোর উপোস যাবে নাড়ীতে প্যাচানো পেট, এই ভূমিতে জাগিবে না তোর আহার, খিল পরে গেল ক্ষেত।
কব্বরে নইলে অজাতশত্রু আসিয়া রহিছে বহিয়া, শরীরী যাকাত দে বাছা তুই একবেলা কষ্ট সহিয়া।
আল্লাহ কহিছে তোর মুখ নাকি মেস্ক আম্বরের ঘ্রাণ, চুপ থেকে দেখ এবাদতে তোর মিশিয়া গিয়েছে প্রান।
এইবেলা শেষে আযানে তোর হইলো পূর্নবাসন, একদিন তোর খোদা কহিবে নে তোর জান্নাতি আসন।
মধ্যে রাইতে অহন উঠিবার লাগি মন করে আনচান, জাগিয়া তোলোগো আমেজ মুসলমান,বুকে রাসূলের(সাঃ) শাণ।
সুবহে সাদেক পার হইবার পারে সতর্ক আওয়াজ, শ্যাষ হইয়া গেলোরে আমার এক মাইস্যা জায়নামাজ।





নিরিবিলি,নবীনগর
১২/৫/২০২১