নিঃশব্দে এগিয়ে চলা রুদ্রদীপে, তুমি কি দেখেছ চাহিয়া রঙিন চশমা কতটা আছে ক্ষেপে!
পলক ফেলো,আবার তাকিয়ে যাও বাহিরের জানালায়, রবে মালতীর ডাক,পিছে ফিরে দেখো,চোখঅসুখ হয়েছে আদ্রতায়।
না দেখে কয়েক মুষ্টি চাল ফেলেছি মেপে!
পৃথিবী বেশি দূরে নয়, গ্রহ নক্ষত্ররা খুটে খাবে জলমাটি! এহেন দ্ব্যর্থতায় কে নেবে আমায়;
একখান চিতল মুখ,পানিতে ডোবে নর্দমার কাঁদায়,একঝাক মাগুরের লেজে জলকেলি খেলে গোবর-গঙ্গাজল।
পবিত্র স্নান করে যেও সখি! কালিমার কতটা নিয়ে যাও, মুখে ঘোমটা দিও, চোখে নয়।
এ এক দরবেশ পুরী, চামড়াখান দেখে টের পেয়েছ;এখানে বোমাবর্ষণ হয়েছিল? আহা! এ তো গন্ডারের বাকল;
ছেড়ে না কাটে না কাস্তেচরায়,তীর নাকি লজ্জায় গতিপথ হারায়।
গণেশের চোখে হাতির আকার, পার্থক্য কি বেঁচেছি জানিবার, নয় কবরের মাটিরচাপ,সয়ে যাই অনুতাপ,
পলায়ন করে একশো বছরের পুরাতন দীঘি;
আমায় কি এক মুষ্টি জল দিবি!
রুপখানা আগুন, গুলতি করে পাঁজরে তীব্র বেগে গরম ছেক, ডাক্তার কই? কোন নিশানায় লেগেছে? 
দেখো তো এরপর বাঁচবো কিনা!
শস্যের করলা চিপে দাও রস,গিলে খাই অষ্টমঙ্গল,ফেরে যদি আহুত পা;
এবার হাঁড়িতে যতটুকু জমেছে চাল,নিয়ে চলা শুরু করি নতুন ছায়াপথে।





নিরিবিলি, নবীনগর
৭/৩/২০২১