মন্ত্রমুগ্ধ প্রভাত আড়াল হয়ে গিয়েছিল অত্যাচারী শাসনে
কতকাল আর ভিজে যাবে ঝাঝড়া বুক,নহর রক্তে।
এক খোকা জন্ম নিলো অকালে বিষ্ণুযশ আভিজাত্যে,মোরগের লড়াই যার বিরাট মন জাগিয়ে তোলে এতটুকু হাঁটুতে!
কি দর্পনারায়ণ অহিংস নীতিতে বড় হয়ে উঠেছে বুকের ছাতি।
রত্নখনি চিনে ফেলেছিল রত্নাকর!
সেই খোকা বড় হয়েছে পরম আদরে,সে কান্না দেখেছে এক পর্বত ভূখণ্ড জাতিগোষ্ঠীর।
আত্মোপলব্ধি আড়াল করতে পারেনি, কিভাবে এই ব্যাধিগ্রস্থ সমাজের ঘানি টেনে নিয়ে এসেছে সভ্য মানব!
গুরুরপাঠ মস্তিষ্কে গেথে সামনে আগাতেই ঢাল হয়ে গেল তার কথন,
কি কথা রে বিশ্ব!
টগবগিয়ে খুন হয়ে গেছে অত্যাচারী, স্বৈরশাসক;
সাতকোটি যেন সাতশো কোটি হয়ে গেল, প্রতিবাদী মাথা।
কারাগারে রোজনামচা হয়ে গেল তাহার জীবন তবুও লাল-সবুজে গাথা পতাকায় সমবেত হাহাকার তন্দ্রা যাবে,আশাবাদী পুরুষ।
কত রক্তের ঝঞ্ঝা মাটিতে টপটপিয়ে পরেছে তাও এই বজ্রকন্ঠ এমন গেথে গিয়েছিল মানবে,
দমেনি, থামেনি বাংলা;
তোমায় কুর্নিশ করলো শহীদ-গাজীদের আহ্বান।
মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে তোমার পায়ে ভর করে একটা মাটি,
এখানের কিছু বিচ্ছু সূচালো দাত নিয়ে কামড়ে ধরলো মানচিত্র!    
হঠাৎ,সায়াহ্নকৃত্য হয়ে উঠলো ভূমি, এরা পৈচাশিক হনুমান,
বাতিটা নিভিয়ে দিল এক প্রাতুষ্যে।
এখন একটা ভূখণ্ড কাঁদে, হারিয়ে ফেলেছে পিতা,
সে একটা দেশ,একজন বঙ্গবন্ধু!








নিরিবিলি, নবীনগর
১৫/৮/২০২০