মেয়ে শোনো! তোমার একান্ত একটু মনযোগ দিবে আমায়?
আমাদের কি কথা হতে পারে তোমার মৌন সম্মতিতে?
সুবহে সাদেক হতে প্রত্যেক রহমত বর্ষণে, ঘণ কুয়াশায় কিংবা পড়ন্ত বেলায়?
অন্ধকারে অথবা প্রাতঃ নমস্য সকালে?


আমাদের কি কথা হতে পারে? অগ্নুৎপাতের লাভার মত টগবগিয়ে কয়েকশ বছর ঘুমন্ত থেকে?
কি হয় জাগলে?  কি হয় মাদূরে আসন পেতে বসলে?
একটা পাখার শীতলতা বুক পেতে নিতে গিয়ে কি, আমাদের কথা হতে পারে না???
আমরা এই কল্পকথাকে নিত্য কথায় মুড়িয়ে, খুব গুটিপায়ে অথবা আলোর বেগে কাছে আসতে পারি না?
অতঃপর আবার না হয় ঘুমন্ত লাভা হয়ে রয়ে গেলাম বহুকাল।


আমাদের কি কথা হতে পারে না? একান্তে?
সাক্ষী হয়ে রইলো শুধু বিধাতা।
তাহার সন্নিকটে যেতে চাওয়ার দরুন ও তো আমাদের কথা হতে পারে!
একটা মহৎ উদ্দেশ্যে।


আমাদের কি কথা হতে পারে না? দুদণ্ড বিশ্রামে?
তোমার ঘাম বেয়ে যাওয়া চিবুক ছুয়ে গুটি গুটি বিন্দুকণায়।
প্যাচানো আগ্রাসী কেশ বহুদূর অথবা কাছ থেকে ছুয়ে দেখার আশায়,
গভীর রাতের হাসনাহেনার ঘ্রাণের মত নাকের রহস্যে বসবাস করতে পারো না তুমি?
আশায় অথবা তীব্র আশায় একত্র সকাল হতে পারে না আমাদের? 
সারারাত কাটিয়ে দেয়া গল্প কথায়?


আমাদের কি কথা হতে পারে না?
জলপ্রপাতের মত বহুদূর গড়িয়ে যেতে যেতে একসময় মিলিয়ে যাওয়া প্রকৃতিতে?
কি এমন দুষ্কর্ম? আমায় নিন্দা দাও! আমায় কয়লার তাপদাহে পুড়িয়ে দাও!
সে কাতর হতে চাইবে তোমার হাতের ছোয়ায়।


এবার সত্যি সত্যি আমি কি কথাগুলো বলতে পারি তোমাকে?
এই অনেক অপেক্ষা জমানো মনের!
নাকি তুমি পড়েই বুঝে যাবে, শুধু উত্তর দেবে হ্যাঁ  অথবা না'তে।







( উৎসর্গঃ  তুমি আদরীনি )


নিরিবিলি, নবীনগর
১৪/৫/২০২১