দু'মুঠোয় হাত বগলদাবা তোমার,হাটুগেড়ে বসেছি অনুপায়;
চলি একসাথে প্রস্থরখন্ডের পথ।
মৃত্যু অনিবার্য জেনেও চারদেয়ালের অলিখিত স্বপ্ন!
এই পথ বেয়ে হামাগুড়ি দিয়ে প্রস্থান হবে,খুব বেশিদিন টিকে থাকার প্রয়াস নেই, তবে আমায় একটু জীবন্ত থাকতে দাও।
মৃদুমন্দা আলোয় বহিস্কৃত নিসঙ্গ সকাল,আমায় রাতটুকু বাঁচতে দাও।
তোমার কি বিস্ফোরিত ভোল্টেজ পাওয়ার হাহাকার লাবন্য? হিমাঙ্কের নিচে তো নয় বসবাস!
তবে কেন বিস্ফোরিত বাঁচা,আতংকের ছায়।
আমি দোদুল্যমান থাকতে থাকতে সরল দোলকের ঠিকানায় সাত চাড়ার কোন একটি ফেলতে পারিনি বলে,লাকি ম্যান হয়ে ওঠা হয় নি।
ভাগ্য নাকি চেষ্টার ত্রুটি? সমাহার গুচ্ছ হাট,কাঁচামাল,বিপণীকেন্দ্র এসবে ডুবে ভাগ্য নিঃসঙ্গ করে রাখা হয়েছে।
তবু রাত পোহাক যদ্দিন মোরগের ডাক,কিচিরমিচির শুনতে পাওয়া যাবে,হিংস্র মনোভাব ঢোক গিলে খেয়ে ফেলো কয়েকপ্রজন্ম বেঁচে থাকা গুইসাপ!
আমিও অন্তরহীন চিকচিকে বালু,উত্তপ্ত হই আর পুরে ফেলি নিজের পা অজান্তে, সম্বিৎ ফিরে পেয়ে জেনেছি পৃথিবীও নাকি অজ্ঞান ছিলো কিছু সময়।
সুযোগ পেয়ে হুরমুর করে জেলের কপাট ভেঙে এসে গেলাম তোমার দৃষ্টির সীমানা দেয়ালে।
কোথাও আমি নেই আজ, সবটা তোমার, সবটা তোমার।






নিরিবিলি, নবীনগর
১৭/৩/২০২১