ঝাউবনে আজ ডাকছে শিয়াল, কাকতালীয় রোদ
সূর্য্যি টা আজ যায় মিলিয়ে,পায় না অতি বোধ!
খ্যাপার জালে আটকা মাছে পেয়ালা ভরা ভাতে
গোপালের মা হিস্যা চেয়েছে, কার কি আসে তাতে।


সাম্পানের ঐ লগির ডগায় হাত উঁচিয়ে আকাশ
পিচ্ছিল সব তেলের বাহারে বহেনা দক্ষিণা বাতাস,
হু হু করে কেঁদে ওঠে কে নলীতার কান ঘেঁষে
থেকো তুমি ঠায় দাড়িয়ে, নিয়ে যাবো আমি এসে।


কানপড়া আর বেহুশা সুখ,পরিতোষ বাবু কানা
দেখিবে কে হরি কৃত্তন তাতেও নাকি মানা!
সিন্দুর অতি নিরিখে ওঠে সিঁথিতে ছড়ায় লালে
ঢেলে দিয়েছি বিয়োগ ব্যথা,গড়িয়ে মিশেছে খালে।


বন্ধু তুমি সম্মুখ নীরব,অতি ক্ষতিকর প্রান সখি
কার যাতনায় বিবেক হারায়ে পাগলের প্রলাপ বকি!
দেনার দায়ে পিঠ নড়বড়, ছবিতে সাজানো মুখ
কত যে চিবুক লুকায়ে রেখে পেতে দিয়েছিনু বুক।


জাগুয়ার মুখ ছিড়ে বের করে এনেছি সদ্য ফোটা কলি
দেখিয়ে দেয়া পথটা শিকড়,একা একাই আজ চলি,
সেদিন তখন বৃষ্টি ঝড়েছিলো মনের বারান্দায়
কে আছো সখি নতুন করে দিবে মোরে ঠাঁই তোর ছায়ায়।


হালের গরুটা ঝিমিয়ে গেছে বাকি রয়েছে জমি চাষ
ভাগ্য কি বদলায় না বলো? কারো হয়ে থাকা ক্রীতদাস!
পুলক ছড়ায়ে মৌসুমী ফুল চুপসে যাচ্ছে রোজ
মিটলো কি জ্বালা,হয়নিকো পূর্নতায় তোমার ভূরিভোজ!


ঝিমিয়ে গেছে আধো বাতিটা জ্বলছে না আর রোজ
কে বা তোমায় আপন ভেবে তব নিচ্ছে আধটু খোঁজ?
মাড়িয়ে দিয়ে সেলাই কাঁথা কথায় ফুটালে ভুঁইফোড়
দেখবে না আর আমায় তুমি,কপাট মারো তব দ্বোর।


তাকিয়ে থেকে ঈর্ষা আমার রয়ে গেছে হয়ে ঝোলা
দেখো আমার জানালাটা আজও একই স্বপ্নে খোলা!
বাজিমাত হোক জীবনে তবু আগামীর ভবিষ্যৎ
নিভে যাক বাতি নুয়ে পরা ভারে ন্যুব্জ অকস্মাৎ।






স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
১৬/১১/২০২০