একবার ঝড়ো বাতাস বহুক তোমায় কেন্দ্র করে।
শালিকের বাচ্চা গুলো লোম না ওঠা শরীরে বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে যেমন হয়,
তুমি উড়ে এসে পরে যাও আমার আরাধ্যায়।
মুখে মুখ তুলে শীষ বাজিয়ে বাঁচিয়ে রাখবো বহুকাল।
বিশ্বাসের অংক কষে দেখো আমি বন্দুকের নলের শিকারী নই, নই ফাঁদপাতা হিংস্র!
আঁকড়ে ধরে তোমার হাহাকার,যোগ দিবো আমৃত্যু সৈকতে।


একবার ঝড়ো বাতাস বহুক তোমায় কেন্দ্র করে।
ব্যাঘ্রনখ খাবলে ধরা হরিণীর মায়া চোখ আমি নিয়ে নেবো তৃপ্তির চাদরে,
এই ক্ষত চুপিসারে সেরে উঠুক বগলদাবা উষ্ণতায়।
তোমার আক্ষেপ পুড়িয়ে দেব বায়ান্ন তাসের দানে,
বসো; দুদণ্ড হাত ঝেড়েঝুড়ে জিতিয়ে দেই তোমায়।
এই অগ্নিচোখের ইচ্ছে উড়ে উড়ে হয়ে যাক স্বপ্নাকাশ,
ঘুরি হও, আমি নাটাই সুতোয় মিশ্রণে তোমার পাহারায় নিযুক্ত গার্ড!
হবে না লাস্যময়ী?


একবার ঝড়ো বাতাস বহুক তোমায় কেন্দ্র করে।
গজনীর অবকাশে হিমালয়ের গলে যাওয়া ঠান্ডায় কনকনে জমে যাওয়া মন!
এখানে সহ্য ভোল্টের বিদ্যুৎ সরবরাহের সমীকরণ মেলাবো, বহুত পুরনো জমাট হৃদয় হয় কি করে অবসান।
তুমি উন্মুক্ত শিরদাঁড়ায় একবার দাড়িয়ে যাও সম্মুখপ্রান্তে,ঝড়ো হাওয়া দায়িত্ব নিয়েছে,আমায় তোমার খুঁটি হতে।
দু'পায়ে শক্ত মাটি, আসো ত্যাড়া হয়ে সম্মুখ বাতাসটা উপভোগ করি।





উৎসর্গিতঃ



টঙ্গী বিসিক
১৬/১১/২০২১