তুমি বরং একবাটি বিষ দিও;
মিস্টির অপছন্দ বাহারে, তেঁতুল টক আর ফুসকার গুড়া লংকার ঝালে মিলিয়ে দিয়ে জীবন, এ আমার অহেতুক হাহাকার, কান্নাকাটি।
বোকা মেয়ে; তুমি তো উচ্ছ্বল, মননন্দিত প্রেমিকা!
ভেবো না,শুধু সরল স্বীকারোক্তি না দিলেই কি প্রেমিকা হওয়া যায় না?
প্রেমের উৎস প্রেমিকার মুখ, পাপড়ী ভেজা চোখে কাজলের উর্বরতা,কথার অস্পষ্টতা, কন্ঠের দ্ব্যর্থতার ব্যত্যয়! আমি না হয় মেনেই নিলাম।
তবু পেয়ালাটা এগিয়ে দাও আমায়;
প্রেমিকার বিষে প্রেমিক বাছা মরে নাকি!
এ এক জীবন্ত দংশন, গাঢ় হয়ে আসে নীল সাইক্লোন, উড়ে যায় ধূলোময়লা,এতকাল ধরে জমানো প্রেমবাক্সের।
ময়ূরী পাখা মেলে, সঙ্গী কি নিস্প্রভ নিরামিষ; বাদরের চিনাবাদামের সখ মিটিয়ে দাও প্রিয়জন,
এ এক ব্যাধি!
মরে না! মারে না!! মারতেও চায় না!!!
তবু অলস দুপুর রাগিণীর দু-চোখ বুজে যাওয়া টর্নেডোর পূর্বাভাস, ভাসতে থাকি নীল বিষ জলে।
তবু মরি না, মরি না, তোমায় মারিও না; এই বেশ চালকের আসন।
জাহাজ ব্যবসায়ী হয়ে সমুদ্রে ডুবে যাওয়া প্রেমিকের দৃষ্টি দেখে না ডুবে থাকা জলপরী!
তুমি নির্ঘাত বার্বিডল, না হয় কবির প্রেমিকা হওয়া যায়? যায় কি কবিতার লাইনে হাঁটা! কবির কদমে তোমার প্রতিচ্ছবি ভাসে।
ঘোলাটে বিষবাষ্পের ধোঁয়া যদি ঢেকে দেয় আমায়,এই কবিতাটা থেমে যাবে;
প্লিজ হেঁটে যাও খালি পায়ে, দু’ফোটা বিষ রেখে দিও,
এক ফোঁটা কবির অপর ফোঁটা কবিতার!







কমটেক্স
নিকুঞ্জ-২, লোটাস কামাল টাওয়ার।
৩০/১১/২১