এক ছিল বোকাসোকা প্রাণবন্ত
কেমনে জানি খুলে গেছে তার একাপটি দন্ত,
তারপরে হয়েছে মৃত কইয়ের মত শান্ত
আজ তাহলে বলি তাহার আদ্যোপান্ত।


খিচুড়ি গরম করে যদি মিলে ঢেঁকুর
ভাবছে সে আসন দিয়ে হবে ঠাকুর,
আটকে দিয়ে যোতচুরির ফাক ফোকর
কে মারিল ঘা, উল্টোদিকেই ঠোকর।


জামানত ছিল বিশ্বাস তার,তাহার ঐ ঘরে জমা
কে বা কি হয়ে যাবে পর,কে করিবে ক্ষমা,
সে বোকা খোঁজে কেন,আজও তোমায় প্রিয়তমা
কি দেখছি তাহার চরিত্র নাকি এটা,আতকে উঠি ও'মা!


জাগরণ দূত মেলে ছিল পাখা সেথায় অন্বেষণ
কাজুমাজু করে ঝাপটে আছে একটু আবরণ,
মহিষের ডাক,বাঘমামা নাকি পরান করেছে হরণ
মধু মধু করে হাত'পা ছুঁড়ে দেখছি গাছেই আহরণ।


পিঠ পেতে দিয়েছে কষ্ট সহে,বুক পেতে দিয়ে অসুখ
সে যে চায় মনটা তোমার আজীবন একটু খানি হাসুক,
হিংসের চামড়া সাপের মতন সময় হলেই না হয় খসুক
ছেড়ে দাও বোকারে,দাবি রেখো না আর,একটু খানি বসুক।


আজ বোকা আর রাধাকে খোঁজে না,একাট্টা ভয়ে
এতটুকু বদনে কম কিসে আর গিয়েছে যে সয়ে,
কলিজা কি মিশে গেছে খাচায়,কতটুকু তার ক্ষয়ে?
খুঁজে সে আবাসন,বালিশের তলায় কতটুকু আর গিয়েছে রয়ে।







নিরিবিলি, নবীনগর
১২/৮/২০২০