পৃথিবীর রন্ধ্রে গন্ধে ভালোবাসা সবটুকুন উড়ে উড়ে যায়, এটাকে অনাবিষ্কৃত কোন গ্যাসের সারণীতে স্থান দিতে হবে।
এই যে তোমার এত এত সৌন্দর্য, চওড়া হাসি সব কি থেকে যাবে অমলিন?
এই মাওকা একদিন বিলীন হবে, কখনো বিষাদ চেপে ধরবে মুখের হা করা অংশ, কান্না তখন চাপাকান্না বনে যায়।
যদি ডিম্বাকার পৃথিবী হয় তবে সুখদুঃখ ঘুরবেই,আজি তোমার বাগানে কদম ফুল কাল আমি শাপলার বাহারে পতি!
দোর্দণ্ড প্রতাপে যেই গেরস্থ ভিটা আর জলাচ্ছন্ন মাঠ গড়িয়ে দিয়েছিলে বুলডোজার দিয়ে তাহা জেগে উঠেছে, এখানেই এখন বৃহৎ বঙ্গনেশা! শাপলার বিল।
কয়েক রাউন্ড গুলি আর হস্তধৃত বন্দুকে এগিয়ে যাওয়া তুমি নিখুঁত হতে পারোনি যে;
কি ভেবেছিলে শিকারী?  এই হাতিমন মেরে ফেলে বেঁচে যাওয়া যায়? বহুত তফাৎ, বহুত তফাৎ।
এই মাহুত পুরো জঙ্গল কে পোষ মানিয়ে নিয়েছে এখন,কতটা কুর্নিশে আমার সকাল হয় দেখে যেও।
কাব্যিক ঘরানার মানুষ বলে আমি বিল চষে বেড়াই, অদ্ভুত ভয় নিয়ে জঙ্গল ঘুরে বেড়াই,
কই! আমি কোন ইচ্ছেকৃত ছোবলের স্বীকার হই নি,হিংস্র কিছু থাবা বসিয়ে আমায় ছিড়েখুঁড়ে অস্তিত্ব নষ্ট করে নি, এই শাপলার জল আমায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করায় নি!
উপরন্তু বিশ্বস্ত ময়নাপাখি টি সুযোগ পেয়ে পলায়ন করেছে।
চোখ বুঝে সহ্য করতে গিয়ে দেখি কোথায় জানি বাসা বাধতে গিয়ে সেও আবার বন্দি!
থাকুক না সবটা, আমি জলপরীর স্বপ্নশাপলা মেরামত করি, এই উন্মুক্ত বিল জলবায়ু পরিবর্তনের ধারক।
আমি এই পৃথিবী পরিবর্তনের ধারক!






নিরিবিলি, নবীনগর
২৫/২/২০২১