স্মৃতি একধরণের জিনগত তাড়না, প্রবাহমান সুদূরমগ্নতা নিয়ে যায় ব্লাডে, ক্যান্সারের মত আচরণ করে;
স্মৃতি মন্থরণ হলো আরো বিষাক্ত, কেমো থেরাপি দেয়ার মত!
যুগ পাল্টায় এরা শক্তিশালী টাইফূন হয়,
জন্ডিস বাধে, হলুদাভ শরীরকে নরক চেনায়।
তোমার কণ্ঠ মনে হয় ধ্রুপদ রাগ!
চেনা চেহারাটা মনে হয় রাত পেতনীর মতন,শুধু হাহাকার গিলে ফেলবার,
ধ্যাৎ, দগ্ধ হয়ে পোষা বেড়ালের লেজ কাটা গেছে,
পাখিটাও বারান্দার খাঁচায় নেই,উড়ে উড়ে ডানা ঝাপটায়।


এ জীবন বিদ্যুৎ কেন্দ্র,
আলোকিত করে স্বপন আর স্বপ্নচারী অপরাজিতাদের।
আমি দ্বিতীয় বর্ণ চিনিলাম, "স্মৃতি"
মগজে চাষ হয়, পঁচে যায়, দু'একটা বীজ থেকে আবার জন্ম নেয়,
চিরতার মত তেতো স্বাদের একটা ব্যাপার ঘেটে দেখলাম, কি যেন পিচাশ ভর করেছিল কয়েকটা বছরে।
আদ্র একটা আবহাওয়া বললো দুঃখিত,
এখানেই গুটি মেরে থাকো, কালঘাম ছুটে গেলো আমার,
নিজ কুটিরে ফিরে এসে কাষ্ঠ পুড়িলাম,চন্দন!
দেখলাম,পৃষ্ঠাগুলো ভরে গেছে স্মৃতিতে।


এত ধ্রৌব্য,আমাকে অবক্ষয়ে টেনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে জলে ফেলে জোর করে ডুবুরি বানিয়েছে,
বালিশখানি যে কখন নদী হয়ে গেছে তা টের পেয়েছি নিশ্বাস বন্ধ হওয়া বিকেলে।
নিবৃত্ত হলাম গাঢ় অন্ধকারে, পঁচেগলে দেখলাম ক্ষতজ শুধু নিহ্রাদে নয়,
গলার ঢেকুরে বের হয়,ডায়রীর লেখাগুলো অস্পষ্ট হয়ে গেছে।
ক্রোশ ক্রোশ দূরে থেকে গন্ধ আসে নাকি!
কই,আমি তো পাই না, এসব বিভ্রান্তি;
আমার সবকটি পকেটে বকুল বাস করে,
বুকপকেটে কয়েকটা বকুল ঘুমিয়ে গ্যাছে সেই কবে; পরম আদর নিয়ে।




নিরিবিলি, নবীনগর
১৯-৬-২০২০