একটা বর্ষা ছিলো; ধারাপাত!
কবি দেখেছিল টুপটুপ আঘাতে ক্ষয়ে যাওয়া মাটির নিচে আরেক প্রলেপ মাটি।
আনুষাঙ্গিক বর্বরতায় পলেস্তারা কিছুটা বয়স্ক হয়ে আজ ম্রিয়মাণ;
কেউ কি জানে? কবে নাগাদ এখানে শেকড় গেড়েছিল রাজা-রানী।
এই যে অতীত মরে পরে আছে! সব বুড়িগঙ্গার জলে বুদবুদ গ্যাস আর অযথা নাক চেপানো নিঃশ্বাস,
গড়পড়তায় আয়ুকাল কমে যায়, হয়না জায়গা সংকুলান।
তলদেশে ঠাঁই, এখানে হিংস্র জলজ পোকা অথবা মাছেরা নেই,কবি একা;নিশ্বাঃস বন্ধ।
অথচ জলের স্তরে বৃষ্টির ফোঁটা, এসব কান্না তোমার নাকি আমার?
জানো রাগিণী, তোমার খোপার বেলীফুল, গোসলের জলে উষ্ণ কোমড় বেয়ে নেমেছে পদ্মায়;
এত স্রোত,জানে না লেখকের উজান!
পাওয়া যায় গন্ধহীন বকুল,তোমার ঘ্রাণ নেই,এ এক বদ্ধ বায়ুর ঘর।
কবি মৃত হয়ে ভেসে ওঠে মরা তিমির মত।
সেই তুমি আজ খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দেখছো আমায়, এক পুরু মরা পর্দা সরিয়ে,
আমায় চিনতে পারছো তো, বর্ষারানী?
এই রাজ্য,রাজা, প্রজারা সব মিলিয়ে গেছে কালের গহ্বরে।
কে দায়ী? সময়? নাকি পালাবদল?
হু, বায়ুর কলঙ্ক যদি রাস্তায় ধুলোবালি হয়ে গড়াগড়ি খায় তবে সে কলঙ্ক থাক!
তবে তাই হয়ে যাক, মৃতশরীর জলে ডুবিয়ে দিও,জলের তলে প্রিয় বর্ষা ঘুমোয়।




স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
১৮/৬/২০২১