সব হিসেব তোলা থাকবে!
পৃথিবীর দক্ষিণ কোণ থেকে উত্তর গোলার্ধের শীতার্ত অঞ্চলশুদ্ধ পায়ের ছাপে বরফ গলতে শুরু করলে জানিও আমিও জিততে জানি।
বাসের হাতল ধরে দাড়িয়ে থাকা ছেলেটার শার্ট খামচে ধরে পার হওয়া মাইলের পর মাইল,একদণ্ড বিশ্রাম।
সেই ঘামের প্রাচুর্যতাই আজ তার আধুনিকতা, হয়তো সামলম্বী নয়তো সুখী মানুষ;
এই কপাল সেজদায় পরে থাকে,এই প্রকোষ্ঠে আবদার জমা করে, এখানেই সর্বমঙ্গলের ডাক আসে।
সূদুরে ফর্সা আকাশটা আমার।


সব হিসেব পই পই করে তোলা থাকবে!
সেটা বিদ্যানন্দের আবেগের বহিঃপ্রকাশে অথবা সোলাইমান সুখনের আগমনী বক্তব্যে।
পরস্পর ভুলে যাই আক্রোশ তবে অবহেলা নয়! তীরের ক্ষতটা সেরে উঠলেও বিষময় একটা দাগ পরে রইলো মাঠের কোণে।
জানি নরওয়ের বৃষ্টিস্নাত রাস্তা আর আমার তফাৎ বেমালুম, গড়িমসি করে পার হয়ে গেলে এই পথ!
কাঁধে পিঠে উঠেই তো গর্ত,ভঙ্গুর আর জঞ্জাল পথ পাড়ি দিলে, ভুলে যাও দেওয়া প্রতিশ্রুতি, মননে অন্য আবিষ্কার।
কি আর হবে বলো, বেত্রাঘাতের মত সর্বসিদ্ধ স্মৃতি রোমন্থন করে অতীত মৃত হয়ে পরে থাক।


সব হিসেব তোলা থাকবে!
ক্ষুধার্ত পেটের চো চো চিৎকার, তোমার কান অব্ধি গেলো না!
ক্রমশ কমিয়ে দেয়া হাতের বাঁধন খুলে দূরে দাড়িয়ে তামাশায় ডুবে গেলে পরবর্তী আগমনে।
কি,এমনটা দরকার ছিলো? উগ্র রিজিকত্বের খেলায় মেতে থাকা?
তৃষ্ণা মেটার মত একগ্লাস পানিতে গলা ভিজিয়ে থাকা যায় না বহুকাল? ইচ্ছে হলে।
এসব উদ্ভট প্রশ্ন কবিত্বের মুখে মানায়, সরেজমিনে তুমিই ঠিক,তুমিই সেরা!


সব হিসেব না হয় তুলেই রাখলাম!
হালখাতা হলেও তোমার পালিয়ে যাওয়া মন ফেরত এসে জমাগুলো দিয়ে যাবে না,
প্রশমিত দিনগুলোতে অস্তিত্ব অস্বীকারী হয়ে বসে গেছো এক্ষুনি,
চুলে পাক ধরুক,চামড়ায় কুচকে যাওয়া হাসি গালে মিশে থাকুক ধনবান মিছরি!
গলা খাঁকারী দিয়ে অমাবশ্যাতে বিরহ ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করো কেউ ছিলো কি!
প্রলাপের মতো করে কেউ বলেছিল কিনা, ভালোবাসো একটাবার।
হিসেব করে তোলা থাকবে সিকিআনাও!






এজিএস ওয়াশিং
টঙ্গী বিসিক
২/৯/২০২১