কামুক শামুক হা করে আছে গোবরডাঙায়,নিপীড়িত মুখ চুপসে আছে মনেতে ধুকপুক।
জলে কুমির ডাঙায় বাঘ কই যাবে সরীসৃপ দলের হুংকারে পিচকারী মেয়েটি,
মনোজগৎ হিংস্র শকুনের খামচি গেড়ে বসেছে চোখের পাপড়ির ভাজে,চেয়ে চেয়ে খেয়ে ফেলেছে পরিপূর্ণ সমাজ।
হাত জ্বিনভুতের মত লম্বা হয়ে ঠেকে গেছে ললনার গায়,দাঁত কিটমিট লবডঙ্গ ভিটায়,
আম কাঁঠালের আধাপাকা স্বাধ জোর করে চিপে বের করে নিয়ে এহেন গর্হিত কাজ, মগজে ধোলাই!
দু-পাচ মিনিট খামচে ছিঁড়েছে কয়েকটুকরা কাপড়ের ঢাকা শরীর!
ক্ষত তো ঢেকে যাবে আাবর কাপড়ে,মন কই যাবে তোর চরিত্রে?
জানে না বেহুশা নিজেও,অথচ কতগুলো চেহেরা ঢেকে দিয়েছে গহীন আঁধারে।
সব নিয়ে যায় কোথায় কুকুর মাংসল স্বাধ! তুই সেই থেকে অস্পষ্ট উচ্চারণে...................... ধর্ষক।


অস্পষ্ট কণ্ঠস্বরে কি যেন বের হয়ে আসছে,
লালা,ঢেকুর,রক্তাক্ত শরীর।কোন কামনায় তিতির পাখির লেজে কামড় বসালো সমাজ বিড়াল!
এই ললনার নিজস্ব কোন আকুতি ছিলো না, দোষ দেয়া যায়? না যায় না।
ধর্ষণে পরিপাপ সব বেহায় ধর্ষকের।কিভাবে খুবলে খেলি গোপাল!
তবে দোষী তুমি রমনী,তুমি লোলুপ দৃষ্টি পেতে ভালোবাসো বলেই শরীরের ভাজ পোষাকে লেপ্টে ফেলো,সুউন্নত বক্ষ আরো বাড়িয়ে তোলো ঘটা করে।
এসবও ব্যাধি ঠিক ধর্ষণ গ্যারাকলে।
কাতরাও কেন তুমি, আজ সম্বল হারিয়েছ বলে নাকি লোকলজ্জার ভয়ে?  কতজন তো প্রেমের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়ে ভ্রুক্ষেপহীন।
রমনী তোমার কষ্ট এই লাল-সবুজের কষ্ট!
তোমার আঘাত এই মাটির আঘাত!
তোমার আঁচড় এই পরানে খামচির দাগ!
তোমার লজ্জা এই দেশ চোহেরায় কালির দাগ!


অবচেতনে ধিক্কার দাও, তবু পুরুষকে ভেবো না শুকর।
এই পুরুষ তোমার আপন।





নিরিবিলি, নবীনগর
৮/১০/২০২০