খুশবু ছড়াও পানি পথের বাঁকে, আমি পিপাসায় উবু হয়ে দু'হাতে জমিয়ে জল, অস্পর্শী চুমুক!
হঠাৎ ঝড়বৃষ্টির কবলে দুটো মন, না তাকিয়ে পরে গেল গর্তে।
উঁকিঝুকি দেয়,হাত নাড়ে বাতাসের পূর্ণ বেগে;
খুবলে খুবলে প্রিয়তমার কপাল ছোঁয় শান্ত শীতল হাতে।
খুব দ্রুত সময়ে কাকপক্ষী ডাকার আগেই, ভোর হলো এই প্রেমের,
আজ আর কালের জন্য অপেক্ষা করে নি, কাল আর নিকট ভবিষ্যৎ বা অদূরভবিষ্যতের চিন্তা করে নি!
কি এক মহামায়া টান, ঝলসে যাওয়া এক গাত্রদাহের চেয়ে বেশি পোড়ে মন,
পাহাড়ের চূড়ায় ঝর্ণামুখ, কেন চুপ!!
তুমি হয়ে উড়ে আসো জলীয়বাষ্পের চুমো।


এই নগর ছেয়ে গেল পানির ধূলিকনায়, বহু নার্সারী জুড়ে সব চারাগাছ তোমার নামে নিলাম হোক,
নিয়ন আলোয় পাতাগুলো হলদে পাখির ডানায় লেগে থাকুক জলছাপ।
কার মায়ামুখ দেখা যায় এই গভীর রাত্রিরে!
ব্যাঙ ডাকে না, শিয়ালের হুক্কাহুয়া নেই, সরাৎ করে সাই-সাই ভুতপ্রেতের এগিয়ে যাওয়া নিষ্প্রভ,
শুধুমাত্র কথা এগিয়ে যায় গুটিপায়ে চলার মতন।
অর্ধনমিত চাঁদ মুখের অবয়ব সাজায় আমার কল্পনায়, সে কুয়াশার মত চোখের দূরত্বে,
কাছে যেতেই হাতছানি দিয়ে এগিয়ে যায় আরো খানিকটা।
এভাবেই প্রেমের কড়াকড়ি, উষ্ণ ভাতের মাড়,চেটে খায় পাত্রের স্বাদ!


সে জলের আঁধারে নিঃশ্বব্দ, ছলাৎ করে নেড়ে দিলাম, কাঁপতে কাঁপতে আরো কাছাকাছি মুখ;
উষ্ণতায় বুকের লোমকূপ দাড়িয়ে রয় অপেক্ষায়।
থেমে থেমে ঝিনুকের খোলসটা উপ্রে ফেলে মুক্তোর প্রভাব,
আহারে বুনো হাস! খেয়ে নাও মাংসাশী আশ।
তীব্র জ্বালাতন, বাড়ছে নিস্পৃহতা তবু এক চোখ শীত প্রহরে কালেভদ্রে এসে দেখা করে।
নিয়ামত! হঠাৎ দেখা পিঁপড়ার সারি, আমি এই পথে এগিয়ে যাই, জলের কাছাকাছি!
এ মৃত্যু নয়, আমৃত্যু স্বাদ, সে হাসে,সে কাঁদে, সে তুমি হয়।





সিএন্ডবি, সাভার
৬/২/২০২২