আচমকা আমার মাথা খারাইপ্পা হবার যোগাড় হইছে,
মাইনষে যারে পাগল কয়,পাগল!
এইহানেও একটা গপ্প আাছিলো,হরিণাথের বড্ড পুরাতইন্না; এর লাইগাই পাগল কয়,মাথা আউলা কয়।
ঐ যে পিরিতের ব্যারাম কয় যারে!
জানো আইজ আমার বুক্কের ভিত্তরে খালি বাইরাম বাইরাম করে,
চড়ুই পাখি আটক হইলে যেইরাম ছটফট করে!
যৌবন পোড়া হইয়া যাইতাছে!
আহা সখি, এই উন্মাদনা,গরম নিহাস,তুমি বোঝোনা এহন?
তোমার কি সুখ জাগে না মনে,আন্ধার রাইতে ছলাৎ করে ঘুম ভাইঙ্গা ওঠো না?
তোমার বুকের ভীতর টা কাইন্দা ওঠে না, কলিজায় পিত্তি যেমন মরিচ পোড়ায় জ্বলে?
হগলে আমারে কয়, আমি নাকি মায়ায় পরছি,গতরের ঘ্রাণে,ছ্যাত কইরা ওঠে নাক,
বুকে আটকাইলে, মনডা চায় মিশাইয়া ফালাই এক্কেরে,
যেমনডা যাতায় ডাইল ভাঙে।
গাওডা গরম লাগতাছে সন্ধ্যায় কূপি জ্বালাইছি পর থেইক্যা,
আমার মরদ জাগছে, কাইল স্বপ্পনে দেহি কেডা জানি চুল ভিজাইয়া টপ টপ কইরা জল ঢালে কপালে,
পট্টি দেয় আঁচলের কাপড়াখানি চুবাইয়া!
আমি কইলাম মায়া দিও না গো,পুইড়া যাই তাও ভালা,মায়ায় চিতায় তুইলো না সই।
আদর যে সয় না গতরে,নাইচা ওঠে,কাপন নাচ,ভেলকি দেহায় দেহডায়,
আমি ডরাই ওহন,মাইনষে কয় তুই তো শ্যাষ!
কইলজা ছাড়া কি চলবার পারে ব্যাডা!
অহন বেশি কাম করবার পারি না,হাত পা-ও গুটাইয়া আহে,পড়ানডায় জোর নাই;
খালি দেখবার মন চায়,
মায়ের পিন্দনের শাড়িখান একপ্যাচে  পইরা আইছিলা যেইদিন,
গাঁও-গ্রামে মহিলারা যেমনডা পইরা ভাসুর দেইখা নাকের নথ আটকায়!
অমনে,আমারে দেইখা লইজ্জা পাইছিলা প্রত্থম।
এত্তহানি পিরিত কি আইজ, চুলায় রান্ধন চড়াইছো?
লাড়কি বানাইছো হগোল অতীতকাইল!
আমারে ছাইড়া যাইবার পারো, তয় এই একখান গাঙ আছিলো বাপের কালে সম্পত্তি,
বাপজান কইছিলো যতন করিছ,তোর গাঙে জোয়ার আইবো!
জানো সখি! আমার গাঙে ওহন জল আইছে, কত সুন্দার মাইয়া পাও ভিজায়, গতর চুবাইতে চায়।
কইছি এই গাঙে তালা ঝুলাইছি,চাবিখানা হারাই গ্যাছে যে!
কুমিরে খায় মোরে নিত্যদিন,মনের কুমির! আমিও নাইবার নামি না জলে,
ময়নাপাখিটা উইড়া গিয়া বসত করে যে গাঙের ওপাড়ে।





নিরিবিলি, নবীনগর
১৫-৬-২০২০