আমরা মৃত পথযাত্রী, অবিনশ্বর ঈশ্বরেরই প্রান্তে হেলিয়ে দেই রূহ,
আমার সব অতীত আর বর্তমান কই? কিংবা যা ভবিষ্যৎ ভাবনার অঙ্কুর?
সপাটে পা চালিয়ে বহিকর্মে পাপ হাসি দাত খিলখিল, এই চোয়াল একদিন মিশে গেল পরস্পর।
আমার কথা ফুরোয়, কণ্ঠস্বর কেউ শোনে না, আমাকে কেউ চেনেও না!
বালুচরে পায়ের ছাপ ফেলে গিয়েছিল অরুন্ধতী, রক্তিম সূর্যটা ডুবে যাওয়ার আগে শেষ আভায় ডেকেছিল সনাতন ব্যাঙের দল!
আমি শেষবার বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম তাপানুকূল গাত্রে দাহ হোক একবিংশের উষ্ণতা।
এই জ্বীন রক্তকণিকার প্রবাহ বজায় রেখে ধাবিত করে মোহ, প্রেম,বায়ুপ্রেম!
অযান্ত্রিক তিন পা অবিশ্বাস্য জুটি বাঁধে, শেষাংশ সর্বদা জয়ী।
প্রত্যহ ওযুর পানি শুরু করে শরীরের শুদ্ধতা, ঘুমন্ত দেহ অবিনশ্বর হয় কি?
চুপচাপ এক হিমশীতল মানব!
অথচ এই প্রবাহে তোমার উষ্ণতা দ্রুত ফুরিয়ে গেল,অনুভব ঘুমিয়ে গেল সাদা চাদর মুড়িয়ে।
নষ্ট যাযাবর চরিত্রহীন খুঁটি গেড়ে অন্তহীন দাপটের ভার বয়ে যায় কয়েক বাঁকের নদী, মিশ্রিত অববাহিকায় সাগর মিলন,
কে যায় মহামূর্তী চুমু খেয়ে, সেদিন বেহুশ ছিলে নায়ক!
একগাদা শর্ষের মাঝে ভুত খুঁজি, তারা মৃত হয়ে গেছে, পরিযায়ী পাখির মত কালে কালে ঘুরে বেড়ায় দেশান্তর।
এখানে ঠাই হয়েছে একদল পাপাত্মার।
মহামায়া ছোপ ছোপ গিলে খেয়ে নিজেকে সম্ভবত দু'জনের একটা বিরহ ডেকে এনেছিল এই মর্ত্যে।
আত্মা চিরকালের সহিষ্ণু একটা সময়কাল মেনে নিয়ে পরস্পর পৃথক হয়ে রয় কালের খেয়ায়।
আজ দুদণ্ড বিশ্রাম চাই প্রেয়সী!






জাহাঙ্গীরনগর,ঢাকা
৩০/১০/২০২১