আমি একটা জায়নামাজ রেখে তার উপর অপকর্মের ডালা সাজিয়েছি,
ও আমায় নিশ্চয়ই অভিসম্পাত দেয় নি, তবে তো ধ্বংসলীলার স্তুপে বর্জ্য হয়ে যেতাম।


পার্থক্য এ মহাকালের সন্ধিক্ষণে বেঁচে থাকার ইতিহাস,
কত মহারথী, কত মহাযুগ সময়ের যাতাকলে ঘুরতে ঘুরতে পুরাতন বইয়ে জমা হয় নতুন করে,
তার খবর কে রাখে!
এত সভ্যতা নিঃশেষ হলো এই বিস্তর জায়নামাজে,
তবুও নতুন পৃথিবী, মস্তক লুটায় না একটিবার।


এই ভাস্কর্য কার গড়া, কার হাতে চক্রযানে রাত দিনের হেরফের হয় তোমার চোখে,ভেবেছ কখনো?
চক্ষুশূল হয়ে ওঠে উচিত কর্মে, উপযুক্ত শাস্তি পাওনি বলে মনযাতনা শুরু হয়নি,
নিষ্পাপ কণ্ঠে গাও একটু "হাইয়া আলাস সালাহ্"
সব পাপ ঝরে যাবে লতায় লতায়, হেলেদুলে কুঁড়ির আকৃতি বড় হবে, ফুলের সুবাসে ফলের বহিঃপ্রকাশ!


পাপাত্মারা জন্মান্ধ হয়,কয়েকশো পাওয়ারের বাতিতে চোখ তার সংবেদন হারিয়েছে,
সব অবৈধ চাহনির পঁচা অবক্ষয়।
এত সুযোগ দেয়া হলো শুধরে নেয়ার, মলিন হয়ে আছে তবু নূরানী তাবিজের সাধু বাবা!
গলায় যে কাটাটা আটকে আছে তা বিড়ালের পা ধরে ছাড়াতে হবে,
উপায়হীন না ভেবে তবুও ভাবে এটা কাটা নয়তো মাছের দোষ।
নির্বোধ, একবার খোল তোর চোখের কপাট!


যাবতীয় যাতনা গলাটিপে পুতে ফেলে জমিন জায়নামাজে,
আমি কপাল চেপে ধরেছি, এবার তো মানুষ হই!
শুনেছি আশরাফুল মাখলুকাতের আমি একজন,
মাটি কচলিয়েই হয়তো আমার সৃষ্টি, আবার মাটিতে মিশে যাবো একদিন,
তবে অগ্রভাগ ডুবিয়ে রেখেছি এবার সহজ জায়নামাজে।





নিরিবিলি, নবীনগর
২/৭/২০২০