আমরা পরস্পর হাটি সমান্তরালে, চোখ ঘুরিয়ে দেখি আমি দক্ষিণ তুমি উত্তর দিক!
অথবা সম্বিৎ ফিরে পেয়ে, দিক ঘুরিয়ে পায়ে পায়ে হাঁটছি, বেখেয়ালি দূরত্বটা রয়ে গেছে।
বিষুবরেখার মধ্য দাগে দেখা হবে কিনা,নাকি দাগটা মুছে গিয়ে আপনাআপনি, মহিরুহ জেগেছে উঁচুমুখে।
তবে কি; আমাদের আর লটারি জেতা হলো না।
জিমনেশিয়ামের হাতল গুলো পুরাতন, শরীরটা জাগছে না ঢেউয়ের আবহে,
মনঃপীড়া যতনে আসছে জোড়ায়।
কে কারে প্রেমে ডাকে, কে কারে পাই, সম্মুখে বাড়িয়ে কয়েক পা, ধূলো উড়াই চুলোর ছাই!
কাঠখোট্টা জিহ্বায় ধোঁয়া ঢেলে দিয়ে মুক্ত হস্তে দান করে যায় নিকোটিন,
মস্তিষ্কে নাকি শীষ বাজে, বিরহ সরোবরে মন্দিরের ঘন্টা সুর তোলে জগতের,
আমরা ভুলে যাই বাকি হিসেব।
নিভু নিভু জ্বলে কৃত্রিম আলোকরশ্মি নাকি তারকার দল, তাকিয়ে থেকে চোখ ছানাবড়া,
এখনে দূরত্ব জিনিস সব চোখের আড়াল হয়ে যায়!
সে রয় অপেক্ষায়, কাছাকাছি আঁখির নিকটতর হয়ে থেকে যেতে নেই বারণ;
এসে দেখে যাও, কস্মিনকালেও এখানে বালিহাঁস বসে নি,প্রচন্ত শীতল।
তোমার ওখানে কি নাতিশীতোষ্ণ?
তবে ড্র হোক, জিতে যাই একটা আবাসস্থল!
হোক দেখা বা না হোক, একটা দানে দেখি ভাগ্যের হেরফের।





টঙ্গী বিসিক
৯/৩/২০২২