পাশাপাশি টেবিলে এপাশ-ওপাশ মিলিয়ে দু'কাপ ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দেয়া বুড়ো-বুড়ি হতে চেয়ে দেখি,
জানালাটা খোলা!
কতগুলো চতুর লোক ব্যাপার টা বুঝতে পেরে তোমায় বাণ মেরে দিল।
কি যেন বলে তারে;কালাযাদু।
তুমি বদলে গেলে পুরোটাই,ঠিক ধোঁয়া ওঠা চা যেমন করে শীতল হয়ে যায়।
কেটলি নাজুক হয়ে পরে রইলো বিষাদের বাড়িতে।


আমাকে ফেরত পাঠালো নদীর ভাঙা পাড়ের ব্লকগুলো,
এসে দেখি নিয়ন বাতিগুলো ধূসর রঙে জ্বলছে,
এগুলো নাকি পুড়ে এমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, তাছাড়া অনিহা জন্মানো লাভা সামনের দিকে অগ্রসরে বাধা পেলে হিংস্র হয়!
ওরা দেখেছে আমাদের এলোমেলো ঘুরতে এ পাড়ায়, আজ তার একজোড়া পা নেই,শরীরের দ্বিগুণ ছায়া ভূতের মতন এপাশ ওপাশ করে প্রেমদৌড় দেয় না।
আলোগুলো কেমন জানি নিষ্প্রাণ!


একটা লেকের জলধারার গতি এসে ঠেকেছে প্রেমিকার মেকআপ গালে,
উড়ন্ত ডাইনি ইগলের পালক পড়েছিল গহীন বনে,হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে উড়ে এসে লেকের জলে ডুব দিলো, গোসলে নামা প্রোয়সীর অহমিকা, সুন্দর হওয়ার পিছনের গল্পকে ছাফ করে দিল,
অতঃপর; বুনো হাস, অতিথী পাখির বাচ্চারা জোর গলায় মাতম তুলিলো, আহা!
আমি আনমনে চেয়ে দেখি, ঘুঘু পাখিটা ডিমে তা দেয়া রেখে, এসব গোঁজামিল দেখছে।


ফিরে এসে ক্লান্ত শরীরে ডিমলাইটের আলোটাও বেশি মনে হচ্ছে,
চোখের পর্দা ভেদ করে প্রেমিকার পাদুকার সেই রঙিন হাটার শব্দ কান ঝালাপালা করে তুলছে।
এবার উঠে দাঁড়িয়ে কান্নার একটা স্রোতধারা দেখলাম মিলিয়ে গেল লেকের সেই স্বচ্ছ জলে!
জলের তলের দৈত্য, মায়াপরী,জলপরীরা উদাম নৃত্যে যে গান ধরলো তাহার সারমর্ম করতে করতে রাত পোহালো আমার!
সকালটা কেমন ভেজা ভেজা লাগছে, প্রকৃতি আর আমরা সমান্তরালে পরস্পর পরিপূরক।


একটা দাঁড়কাক আত্ম চিৎকারে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে পাড়ার মোড়ে ছেলেগুলোকে বলে বেড়ালো অমুক পাগল হয়ে গেছে,
এগুলো আজকাল বাতাসে উড়ে,সবাই বলতে লাগলো আমি পাগল!
আমিও মেনে নিলাম পরবর্তী কালে না হয় পাগল হয়েই জন্মাবো।





স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
১২/৭/২০২০