যখন আমি হাটতে শুড়ু করি তখন আমার ভুলগুলো ঠিক এমনি ছিল,
আমি বদলালাম,চেষ্টা করলাম,নিংড়ে দিলাম মন।
এবার বদলে গেল শুরুর গল্প, আমি লিখি,আমায় লেখায়,
না চাইলে, মন ঘাড় ধরে লেখায়।
একটা পিত্তরস ভালোবাসা জমে গেছে কবির, কবিতায়।


জানালা খোলা ছিল,মৃদুমন্দ বাতাস
এটা মানতেই হবে, ঐ কেশঘ্রাণই কবিকে কবিসত্তার আশ্রয়ে রেখেছিল অনেকদিন,
একটা নিকষ মুখ যে কবিতার খসড়া পাতা,মলাটে আটকানো বই হয়ে উঠতে পারে এই আমার জানা ছিল না।
দেখো মুখ, আখির পরশ,ওহে ললাট!
তুমি নিশ্চিত গিরিজা গিরিনদী, বহমান কবিতা আমার,
আমি কৃতজ্ঞ রইবো, হে আমার কবিতার সুর!


লেখনী কি আদতে কোন প্রতিভা?
এ তো আসরের মহা স্বপন, শ্রদ্ধেয় কবিদের প্রসারিত বাহু
আমি সেই অক্ষর,শব্দ,লাইন থেকেই শিখেছি কবিতার সঙ্গা।
আমি উৎফুল্ল হই শেকড়ের সন্ধানে, দেখি কবিতার প্রাসাদ আলমারী,
একটা কুহুরব ডেকে উঠিল কবিতার ভালোবাসা।


আজ আমি, কবিতাকে যতটুকু জানি তাহার পরশ দিয়েছে মেঘ,বৃষ্টি,রোদ,পাহাড়,নদী,সমুদ্র,
ঐ নীল আকাশ।
আমি হাঁটি,মাটি আমায় শব্দ ধার দেয়,চলন্ত গাড়িও দেয়,
আমি দেখি,অপরিচিত রমনীও মাঝে মাঝে চরণ তৈরী করে মস্তিষ্কে,
দেখি সম্পূর্ণ কবিতা একটা শব্দেই হয়ে যায়।
তাই আমি ক্ষুদ্র বালুকণাও আপন ভাবি এক্ষণে।


বাতি নিভলে আমায় জ্বালিয়ে রাখে কবিতা,
প্রেমিকার আবদার মেটায় চরণ লতায় বেয়ে ওঠা কবিতা,
আমায় কাঁদায় আবার হাসায় এই কবিতাই।
একাকীত্বে ক্যাম্প করে কবিতা আমায় মৃত্যুদণ্ড দেয়,
বলে তুই অমর হবি না! প্রেমিকা ছেড়ে গেছে মোরগ বিহানে,
তবু এই জীবন যে স্রোতময় সুখদুঃখ।
এসব গুলিয়ে পথ্য করে খেয়ে ফেলে;
আমি বাঁচি শব্দে, গুচ্ছ গুচ্ছ জমা করে বিবিধ হয়ে ওঠা কবিতায়।



( বিঃদ্রঃ - এটা এই আসরে আমার ১০০ তম নিবেদন)



নিরিবিলি, নবীনগর
২৬-৬-২০২০