আমার জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে তুমি হয়ে গেছ অজস্র বর্ষা!
কেউ কি জেনেছিলো যে আপাময় ঋষি বিশ্রী কথা শুনাবে বাঁশির সুরে,কথক নাচ কোমড়ের ভাজে; পুরুষপ্রধান লেংটা জামারছাট!
মিলিয়ে গেলো বিমানের পাখনায় জমে থাকা আটলান্টিকের উত্তাল।
হজম করে নিতে পেরেছে এই সাহসী ভেলা,তারপর কব্জিসন্ধি বেজে উঠিলো সময়ের পাঁচফোড়নে।


আমাজনের অগ্নিত্তাপ ছেয়ে গেছে পুরো এনাকোন্ডাদের শরীরে,তবু এ সঞ্চারন পৌঁছায়নি তাহার দ্বোরগোড়ায়।
পাকাপোক্ত আঙুল মুচড়েছে অসভ্য বাঁদর,কলাপাতা চেবানোর মত কচকচে হয়ে গেছে মুখের স্বাদ!
সুস্বাদু কলার গাঁথুনি সন্ধ্যার বাদুড় চিবিয়ে ফেলে দিলো, দেখা না হোক অসাধু পতঙ্গভুক উদ্ভিদের গোত্রে।
এভাবেই অভুক্ত পেট উত্তাপে মিশে যেতে চায় উদীচীন সমাজে।


নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে হৃদপিণ্ড আছে বহাল তবিয়তে শুধু বিকলাঙ্গ হয়ে গেছে আশপাশ,
মঙ্গলসূত্র নাকি আশীর্বাদ পূজোর ঘরে,ঢুকে গিয়ে কি দেখেছ সেখানে?
অতিরিক্ত বাজনা বাজে, চোখের পলকে সব কৃষ্ণ হয়ে যায়?
গাওগেরামের হাঁটে এমন বুভুক্ষু পেট নেই,ইতর মুখ নেই!
এরা নীরবে পুকুর কেটে পানি তুলে দেয়,স্নানঘরে উলু দেয় তবু অপেক্ষা করে না অজস্র বর্ষা বিদায়ের মৌসুমে ঝেকে ধরুক দুর্ভিক্ষের,
এ এক প্রেম দুর্ভিক্ষ!





নিরিবিলি,নবীনগর
১১/১১/২০২০