এই গায়ের গন্ধ একদিন হারিয়ে যাবে কর্পূরের ঘ্রাণে,মোসাহাবা হাত গুলো গুজে দেয়া শুভ্রতার ভাজে।
কোন চিঠি নেই আজ,কে বার্তা পাঠায়, কিভাবে যোগাযোগ প্রিয়তমা!
নিথর চোখে আজ ভালোবাসা আছে? দেখোতো! আবার দেখো!!
এখানে নিশ্চুপতা, তুমিও সর্বগ্রাহে দু'মিনিট তাকিয়ে থেকে ফিরিয়ে নিয়ে চোখ, বুকে কিছু হাহাকার জমিয়ে ভুলে রবে অনন্তকাল।
এখানে বৈরিতা নেই,বাঁশের কঞ্চি আর লতাগুল্মের বাহারে আমার পুরাতন হাড় দখলে নিয়েছে কীটপতঙ্গ আর মাটি!


মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হতে না হতেই পরিপাটি হতে চাওয়া দুস্কর্ম মনপ্রকাশ থেমে যায়,
সাদা কাপড়ের ব্যাগে গোছানো বন্ধ মস্তিষ্কে।
এই নিথর দেহ, কি চাইতে পারে? কিচ্ছু নয়!
জড় কপাটে খিল, দুয়ার খোলে না কেউ, আজ শুভরাত্রি।
এই ঘুম ভাঙলো না আর, চোরাবালি টেনে নিয়ে গ্যাছে মধ্য গর্ভে, তারপর অসম নহর!
পাপপুণ্যের বিচারে ভাগ, আমি কি নিঃশেষে বিভাজ্য নাকি ভাগশেষ থেকে গেছে?
সময় এখনো আছে, পূন্যের বিভাজন বহিয়ে যোগফল, না হয় হোক ইনফিনিটি খেয়াঘর!
চলো ভাসতে থাকি, নাসিকায় জাগুক পবিত্র সুবাস।


ভূখণ্ডে আমার জোড়াতালি হাত,ক্ষমা মাঙি প্রভু সেহরি মোনাজাত,
শুষ্ক ষ্টমাক,তবু চিৎকার করে না,পূর্ব ইফতার।
আমার ক্ষমা করো প্রভু, চাহিয়াছি অসীম পাথারে, কে জানিবে আমি রুটিনে নিয়েছি যাহা চলমান সভ্যতা।
পাপীতাপী মন,জেল-জুলুমে টিকে থাকা রং,আজ বদলায়,
কোথাও কেউ নেই!
দৃশ্যপটে কত অটুট সাহস, বেঁচে থাকি এইতো প্রবাদ।
কি করেছি এতকাল,জানি কি আমি?????
চলো বেঁচে থাকতে একবার চক্ষু মুদি!






নিরিবিলি, নবীনগর
১৭/০৪/২০২১