আমায় জাগতে বলে পাখিটা উড়ে উড়ে চলে গেল অজানার কোঠরে,
ব্যাশকম হতেই পারে তাই বলে জীবনের লেনাদেনা কাসার পাতিলে জলীয় ধোঁয়া হতে পারে?
একটা ক্ষীণ মস্তিষ্ক মরা গাছের শেকড়!


গতকালই শালিকের ওড়াউড়ি দেখছিলাম বারান্দায়, বেরিয়ে গেছে মন জানালার গ্রিল থেকে!
বহুবার পালাতে গিয়ে পা ভেঙে ফিরে আসা হয়নি এ আলোয়।


আমায় এখন লা-প্রেমি বলে লোকজন;
আমি নাকি -প্রেম,প্রেমিকা,লাইলি-মজনু,শিরি-ফরহাদ,শাহজাহান-মমতাজ তত্ত্ব বিশ্বাস করি না!
পরিস্কার চোখে দেখি না সকাল,সন্ধ্যার ম্রিয়মাণ আলো।
তবে তো অবশ্যই নেই কিছু নেই,সব ঘোলা জল।


তাহাদের বাগানে জল নেই তাই সাগরে ফিরে গেছে,
অথচ সব নোনাপানি চামড়া কামড়ে থাকে,খসখসে বাহিরটা,
এরপর অভাবে মৃত ফুল,দু'গ্লাস নিন্দা আছে কলসির তলায়!


পয়লা পয়লা কয়েকপাটি চামড়ার নিচে লুকানো ছিলাম আমি,
পরে নরম বিষাক্ত চামড়ার অপারেশন করে বের করা হয়েছে আমাকে;
কি নৃশংসতা চলেছে মনের উপর!


এরপর আমি ছেড়ে দিয়েছি দুপাড়ের খুঁটি,আমি মধ্যখানে বাঁশের সাকোয়,
প্রিয়জনের প্রতিচ্ছবি নিচে জলে ভাসে!






নিরিবিলি, নবীনগর
১/৯/২০২০