কথিত আছে একটা কাঠামো ছিলো শুধুমাত্র,জাত্য;
পেরেকঠোকা হাতুড়ির কালেভদ্রের ছোয়ায় নৌকা হয়ে উঠেছিল একদিন!
ময়রার মিষ্টিমাখনে পার্শ্বাস্থি নিয়ে অকাল পাথারে এহেন তক্রে মাঝি ঝম্প দেয়।
টলিত হলো কুঠার,যে নিজে নৌকোর পাটাতনের কাঠ অবলোকন করেছে,
শীঘ্র ঞ অঞ্চলে ঢুণ্টি পায়তারা করিলো বলে হা করে অক্সিজেন গিলে মাঝি!
এখানে জমানো ঠোঙা ছিলো বকুলের, নিষ্পত্তি ঘ্রাণ;
এ যাত্রায় আর কি হবে,ভালোবাসা ডিম্ব পাড়িল!
বড় হয়ে উঠতে উঠতে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার সম্মুখীন হলো করাতে কাটা ছই,
এ জলযানে একমাত্র সঙ্গী বলিলো,মাঝি, ও মাঝি;
তুমি কই!
তলায় যে এই সমুদ্র আটকায়, ডুবুরি মাঝি।


অনেক দূরের পথ খুঁজে, চুম্বকের নর্থ-সাউথে,
খেয়া পাড়ের মাঝি ক্লান্ত হয়ে উঠলে বৈঠা নিও আঙুলের শক্ত বাঁধনে,
মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হোক ঘুমন্ত ডুবুরির।
আব্রু ঠিক তেমনই আছে মাঝির ছৈ এর আড়ালে,
পাটাতনে শীতল পাটি বিছানো ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত নৌ-যাত্রীর বসন স্বরূপ।
মাঝপথে বৃষ্টির বাগড়া আর কালো হয়ে আসা মেঘের আন্ধারে লুকিয়ে যাওয়া স্বপ্ন!
আর বেচারা মাঝি,উজানে নিষ্ক্রিয়,অনিশ্চিত
ঝড় কাব্যের স্বর্গে আছে মনফানুসে।
লম্বা হাওয়াইয়া পাল তোলা ছিলো,বিপরীতে চললো নাও তবু ভাটির খোঁজে।
দূরত্ব পার হতে চাইলে উজানে সুর মেলাতে হয়,
এই সুর বড্ড বেমানান, আপেক্ষিক তত্ত্ব লোমকর্ণে।
যন্ত্রণামুক্ত থাকতে মাঝির আছে রূপক ভাওয়াইয়া গান।





নিরিবিলি, নবীনগর
১৬-৬-২০২০