ক্ষানিক পরে হিংস্র আচড়,হয়তো নিজের বেখেয়ালেই
বাস্তবতা খাতার এপিঠ ওপিঠে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
বিবেকর তাড়নায় সত্য-নিষ্কলুশ কথাগুলি গলার ঢেকুরে বের না হলেও,
কখনো না কখনো জানান দেয় ভোরের।
চারিপাশে অঘটনের ছায়া
সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে
নির্মমতার ভারে কুপোঘাত।
অথচ মানব বিবেক স্ব-স্থির; হয়তো খেয়ালে নয়তো রুদ্রমূর্তিতে।
মানব আজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে?
দৃষ্টিপাত গহীন অরণ্যে।
কালো কাপড়ে ঢেকে বিবেক চাষাবাদ করছে তাজা রক্ত
শক্তি বাড়ায় পেশিবহুল গুলিতে!
ফিরে আসার নির্মলতার ছাপ যে উহ্যই।


এতটা কাটখোট্টা হৃদয় মানব কিভাবে বয়ে বেড়ায়?
এসব বুলিতে বড়-সমাজ বলবে না তো, তাহার অনধিকার চর্চা করছি!
হয়তো এসবের কেন্দ্রে আমিও ঘুরি,তবু মানবতা প্রধান অস্ত্র আমার,
লেখা আমার প্রতিচ্ছবি
আমি রূপকথা আওড়াই না
আমি চাঁদের দেশের শুভ্র নই;
তবে শেয়াল হয়ে গেরস্তের মুরগী নিয়ে পলাই না!
এই যে এত এত পাহাড় বাড়ি,অট্টালিকা সম্পদের প্লেন
তবুও শৃঙ্গ ধরিয়া আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছে,
তবে কেন মানব শিশুই ডাস্টবিন খুবলায়?


হায় বিবেক!
মরণ নেশায় বুদ,হায়েনার চরিত্রের জাতি
খেলায় বাজিমাত হয় লাশে!
পরবর্তী আগমনী ঝড়ের কুন্ডলীতে আটকে আছে।
হরহামেশাই কেন সুবোধ-স্বপ্নারা লাঞ্ছিত পথে ঘাটে?
অপরাধপ্রবণ কেন আমি তুমি,সভ্যতা?
ধোঁয়াটে কাদামাটি লেপে নির্লজ্জতার আঁটকুড়া সমাজ
পতাকা ওড়ায় কেন,পতীতার দোষের?
পতীতা কে বানালো তবে?
আমি আঁকি মনুষ্যত্বের ছায়া, লেখনির ফটক থেকে শুরু করে শেষ অবধি!
বাস্তবতার মুলন সেতুর খুঁটিবন্ধন যেখানে।


আমি প্রশ্ন করি আধুনিক সমাজতন্ত্র কে,
যদি মানব কাঁদে,তবে কেন নুন স্বাদের অভিজাত আচরণ?
সমাজ শুদ্ধ হলে কাঁচামরিচে প্লেট কচলাবে আবারো জীবিত বিবেক!
অধিনস্থ জিবে মানবতা তুলতুলে চর্বি হয়ে গেছে।







নিরিবিলি, নবীনগর
১১/৬/২০২০
শুকুরসী,ঢাকা
২৫/৫/২০১৩