চলছে রানীর বাহাদুরি, হরহামেশা ঘোরাঘুরি
পেস্তা ডলে বিরিয়ানি,নতুন মুখে ফুলসাওয়ারী,
কাদছে বসে বিরূপকারী, এত নাচন ছলচাতুরী
চলছে শাসন অনাহারী, কে দেয় কার মাথায় তুড়ি!


জ্ঞান গুলো সব পাইকারিতে, বিক্রি হলো ছাই কাঁড়িতে
বিয়ের পালা ভেস্তে গেল,কন্যা তোমার রাম আড়িতে,
অক্কা গেল প্রেমিক মশাই, বহুত তলার নিচ বাড়িতে
রইলো চেয়ে দৃষ্টি চোখে, হা করে যাও কোন গাড়িতে!


মূল্য তোমার কতই ছিলো,বেচবে কিনা বলোনি তো!
কিনতে না হয় দরদামে সব,আকাশ পানে দিতাম ঘা ছো,
পিত্রালয়ে নামডাকে সব মেলেনি তো? কোন সে যে কার পো;
মূলোর মাথা ফাটিয়ে রেখে,বললে না যে,যাবোই যাবো গো!


অবাক হয়ে ঠ্যাং উঁচিয়ে,মেনেই নিলে মূত্র দিয়ে গা ভিজিয়ে
মনটাকে আজ চুবিয়ে দিলাম,গরম জলের ভাপ সিজি য়ে,
পাল্লা দিয়ে পরছো আজি, কদম-গোলাপ খোঁপায় গুজিয়ে
সময় হলে বাসি, চুপসে গিয়ে ফুলটাও দেয় মুখ বুজিয়ে!


রতন দাদার স্টিয়ারিংয়ে ভিটা মাটি নাই বলে কি পাত্র না সে?
মুখ ফোটে না,মন চাপিয়ে,সেও বলে আজ, যে যাবার সে যাগ গে;
সহজ দাদা বিবেক দিয়ে,নিজেই নিজের মনকে বলে ভাগ গে
মৃত পরে সবাই একা, এখন থেকেই একা একা থাক গে।


তাবৎ কথার মিশেল হাওয়ায়,মন ছিল এক সস্তা হাঁটে গ্রাম্য
এতদিনের কল্পকথা-গল্পকথা,মিলিয়ে হবে মস্তবিশাল ভ্রম্ম,
এই শুনে সব,মন বলে বেটা, যা হয়েছে কিছুই হয়নি বোধগম্য
আসল ব্যাপার বাছা, নাগিন বিষে জর্জরিত এটা নিছক মীরজাফরি রম্য।






রামারবাগ
১০/৯/২০২১