মন এবং কবিত্বময় একটা সুসম্পর্ক ছিলো
সে বহুদিন আগের কথা।


একদা কবির উপলব্ধি শিকল ভেঙে গেল,পাগল যেমন লণ্ডভণ্ড হয়ে দৌড়ায়!
কবিতা, মনকে ডেকে বললো, মন তুই মানুষ চিনলি না।
ব্যাঙ্গাত্মক হাসি, হো হো;
এতদিন যাকে তসবীসম নামে বারংবার জপে জপে নিঃশেষ হয়ে যেতে, তাকে উপমায় ডাকো না কেন।
-আজ কেন কংক্রিট দেয়াল ধসে একটা স্বাধীন ভূখন্ড পরাধীন হয়ে গেল? প্রশ্ন করলো কবি!
মন বললো, তুমি বেরসিক শকুন;
এবার অট্টহাসি হেসে কবির উওরঃ আমি তো মন তোকেই চিনি না রে!
ভেতরটা যা মাকাল ফল,ছোবো না আর।


অতঃপর- বেচারা মন,
ভীষণ কষ্ট পেল, রাগ করে সূর্য দেখা বন্ধ করে দিলো,
অন্ধকারে ভয়ার্ত হয়ে গেল গা।
মন আর কবিকে ধার দেয় না শব্দ, বের হয় না প্রেমময় পংক্তি,দুরন্তপনার সৃষ্টিশীল লেখক হ্যাং হয়ে আছে, ভালো..লোডিং........হচ্ছে তো হচ্ছেই,
প্রকৃত শব্দটা লিখতে!
কবিত্বের বাহাদুরি এখানে সিরাজুদ্দৌলার মত হেরে গেছে,
কবি দেখলোঃ প্রেমিক বেঁচে রইলো কবিতার শেষ নবাব হয়ে।


এর বহুকাল পরে কবি ক্ষমা চাইবে বলে সিদ্ধান্তঃ নিয়েছে,
ততদিনে মন কেমন জানি উগ্রবাদী হয়ে গেছে।
প্রেম-ভালোবাসা বিশ্বাস করে না,প্রেমিকা বলে কিছু হয় তা জানে না,
মন পাগলের প্রলাপ বকে, সব সাধু! সব সাধু!!
একটা সুস্থ মন এভাবে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে, মানতে পারলো না কবি ধর্ম!
এই কবিতা, মনকে আইসিইউ-তে শেষ চিকিৎসা করাচ্ছে,
মন সেরে উঠলো হামাগুড়ি দিয়ে,
মন আর কবিতা আবার পরম্পরায় নতুন লেখায় মনোনিবেশ করে দোলনায় শব্দ আওড়ায়।
একটা শব্দ দু'জনেই ভুলে গেছে; ভালোবাসা!





স্টারলিং লন্ড্রী লিমিটেড
২১-৬-২০২০