ভেতরের খোলসটা সাপের মতন পাল্টে ফেলতে ফেলতে আমরা কালকেউটে হয়ে গেছি,
শুনেছি খোলস পাল্টালে বিষাক্ত হয় বেশি,আমি তেমন বিষের আচ পেয়েছি নগদে!
খোলস দেখেও সরে আসতে পারিনি,পারিনি মায়া কাটাতে,মনে ছিল এ মুখ আমার চিরন্তন সুখ।
একটা বাগান ভরা ফুলে অথচ ঢোকার পথে অসংখ্য ছড়ানো ছিটানো খোলস!
পরিস্থিতি বুমেরাং দেখে নিজেই পরিছন্ন কর্মী হয়ে বাগানটা গুছিয়ে নিলাম পরবর্তী পদক্ষেপে মালিক বনে যাবো বলে।
এ আমার ঔদ্ধত্য ছিলো,অসভ্য চাওয়া!


আমার এ জরাজীর্ণতা তাহাদের তোষামোদ করতে পারে নি,কপালের তিলক হয়ে ওঠা হয় সম্ভব হয় নি,
হাক ডেকে বাগান নিলামে তোলা হলো,
সামর্থ্যহীন প্রেমিক পারে গুছিয়ে ফুল ফোটাতে অন্যকিছু বিলাসিতা যে!
এর আড়ালের ষড়যন্ত্র জানা হলো না বিভূঁইয়ে প্রেমিকের।


অনেকদিন ধরে ফাঁকা ছিলো ল্যাবরেটরি,
অনেক দূর থেকে আমাকে দেখতে পেয়ে পুরাতন যন্ত্রাংশে মরিচার একফালি আবরণ তুলতে ব্যস্ত সহকারী লোকটা,
যেন কতকাল ধরে চিনে রেখেছিল!
আহা! তাহার অনেকদিন পরে রক্তে বিষ পেয়েছে পরীক্ষক।
কয়েকপাতার রিপোর্ট প্রকাশ পেল, পত্রিকায় কয়েকদিন বিজি সিডিউলে ছিলাম আমি,
বিখ্যাত হয়ে গেলাম, সবাই বললো মেধাবী,অনুগত প্রেমিক ছিলো ছেলেটি।


ধরাধমে এই ছেলেটি আজ নেই,
এখন প্রশংসা কুড়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
কেউ জানে না হীন যোগ্যতায় পিছিয়ে ছিলো বলে এহেন বিষ প্রতিনিয়ত তার অন্তরপিণ্ডে ঢেলে দেয়া হয়েছে।
শেষমেষ বিষাক্ত নীলে ছেয়ে ছিলো ওর আকাশ,
হঠাৎ সবটা অন্ধকার,ভীষণ অন্ধকার!
রূপক পরিবর্তনে বাতি নিভিয়ে দিল একদলা মনের বিষ!





স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
৬/৭/২০২০