এই যে ট্রেনের ফেলে আসা ধোঁয়াগুলো কুয়াশা হয়ে যাচ্ছে, খেয়াল করেছ!
নোনতা নোনতা রাত,ধারালো ছুরির নিচে স্বপ্ন গজগজ,অন্ধকারে মিলিয়ে যায় সাদা কাশফুল?
শুভ্রতা,তুলতুলে ছোঁয়ায় ঝড়ে যায় খানিক নাগাদ।
আমার মরদেহ ঝুলছে মৌনতার আক্ষেপে, তাহার বিবর্ণমুখ ফিরিয়ে নিল ওপাশ।
কলিমউদ্দিনের গ্যাঁড়া কলে ভেঙে গেছে নবান্ন ধান,চাল নেই সব চিটা!
পায়েসের অবর্তমানে পূজা পার্বণের ডাক থেমে গেছে, হাহাকার! হাহাকার!!
মধ্যরাত,দুঃস্বপ্ন শীতে বরফ হয়ে গেছে, আমি তাহার ঘুম নিয়ে পরিপূর্ণ শহর ছেড়ে বহুদূর,
সে তাড়িয়ে দেয় বেহুঁশ যাযাবর পাখি।
এখানে বসন্তরা শেষ হয়, সব বসন্তে কুঁড়ি গজায় না
কিছু অবাধ্য শেকড় তবু বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব নেয়,
অ-স্থির কর্মসূচি।
মনোজগতের আশপাশে সব শূন্য রোদন, তাহারা মারামারি করে ঠেকে গেছে বিবেক বিবেচনায়;
তোমাকে মুক্তি দেয়াও কবির প্রাচুর্যতা।
অস্থানে তীব্র বিষফোঁড়া, দগদগে ঘা, এ এক মৃত্যু লড়াই;
তুমি জানো? সপাটে চালিয়ে দেয়া "না" একটা শব্দের বিপরীতমুখি কান্না!
৯০ মাইল গতিতে,স্থির শরীরটা থেমে গেলে এই নীরবতায় তবু নিঃসঙ্গতা,
কুয়াশার চাদরে মুখ পেচিয়ে স্টেশনে তবু দাঁড়িয়ে রই অপেক্ষায়!
তুমি আসবে।
চলো "অ" কেটে দিয়ে স্থির হই।






বেনাপোল এক্সপ্রেস
২৪/১২/২০২১
রাত ২ঃ৩৭