সকাল হতে সবুজ পাতাদের দেখেই
তাকাতে শিখেছে  এক জোড়া চোখ,
এভাবেই যদি হয় কথা, দু'চোখে দেখা
তবে চিরকাল ধরে বারবার তাই হোক!


বৃক্ষলতা কিংবা পাতা চিরন্তন সবুজেই থেকে
অন্য কোন রঙ কিবা না শুকিয়ে কেন যায় বেঁকে,
প্রশ্ন সদা, তবে আমি পরে আছি কার তরে
বৃদ্ধ পাতাগুলো না মরে,হলুদ বর্ণেই যায় কেন ঝড়ে!


আমি নিখিল এ ভুবনের নভোচারী
ক্ষানিকটা পরে কেন ছাড়তে হবে ঘর বাড়ি,
ভূমন্ডলে বিচরণ করিবার আশা নাহি হলো শেষ
তবে কেন উপমার শুরুতেই জীবন নিরুদ্দেশ!


নির্ঘুম চোখের ক্লান্তি এলিয়ে দিয়ে বিছানায়
বলতে পারি কি তখন জীবিত নাকি মৃত,এ ধরায়;
রাত্রির এ আবছা আলোয় মিলিয়ে থাকা ঘর
দুদণ্ডে কেউ নই আমি, শুধুই অনুচর!


নিত্য আছি লিপ্ত সবাই পূন্যে কিংবা পাপের খেলায়
পড়ে আছি গোলকধাঁধায়, নির্বিঘ্নে, নির্ধিধায়;
কাপনের কাপড় পেঁচিয়ে গলায়, পূন্যের ঝুলি খালি
যাবি যদি সব ছেড়ে, ভাবলি না কেন যে ধরায় এলি!


ললাটে কেন চুম্বক সুখ,বাঁশিতেই দিয়ে ফুক, পাঞ্জেরী!
দিশা দাও মোরে,বাঁচি কিছুক্ষণ, কতকাল হবে দেরী?
হোক সরোবর প্রতিবাদ মুখর ময়দান যাক অবিলম্বে ভরে
আর কতকাল নীরব ভূমিকা,ঠিকানা নেই যে তোর ঘরে!


হাড্ডিগুলো বেঁচে দে এবার খোদার কুদরতি পায়
সুধা আছে তোর,অকালে যদি তবুও জীবন যায়,
হতে চাই সুখ, না হলেও ধরায় নেই কোন অম্ল ক্ষতি
কাব্যের সুধায় পান করে যাই, যতটা আছে অমরাবতী!






শুকুরসী, ঢাকা
২১/৩/২০১৩