এই চর্ম চক্ষুর বিষাক্ততায় উবে যাবে তোমার শহর,
কৃত্রিম আলো তোমায় দিলাম জ্বালিয়ে বাত্তি বহর।
থাক থাক তবে কাকদের উড়ে যাওয়া কালোর মিছিল,
সাম্পানের মাঝি হাত বাড়িয়ে চেয়ে রয়, পথটা কি পিচ্ছিল?!


জগতের গান কে গাহে আজ, নেই সে স্ব নিবেদন
কভু আর কেহ জানিবে না দেহ, তোমার আচরণ।
চুরিটা আজ শেয়াল করেছে,কুকুর রহিয়াছে নিশ্চুপ,
মোরগের জোড়া, মুরগী টা আছে শেয়ালের পেটে খুব!


চোখ না মুখের বারান্দায় কত শত মৌমাছির ভনভন,
ফুলে ওঠা আখির রূপ কি বিষন্নতায় শিরদাঁড়া টনটন।
এ চোখে তৃষ্ণা শীতল,দেখো না রূপবতী কিশোরী মেয়ে,
কঙ্কাল মায়া দেয় না ছাড়,গতরে রোগ বালাই যাবে ছেয়ে।


সভ্যতার অপরিণত বয়সে টিকটিকির ছিড়ে গেছে লেজ,
গলায় গলগণ্ড, শেষ হয়ে গেল নিমিষে বাহুর সমষ্টি তেজ।
উল্টে ফেলা চোখ কিটমিট দাত,চেয়ে চেপে আছে বহুক্ষণ,
গহীনে পরাবে মালা জড়িয়ে দু'বগল সংকটাকীর্ণ এক মন।


পাতে তোলা ভাত শরীষা মাখায় আজ জিহ্বার অন্তর্দাহ,
বাজাতে নাহি পারিবে বিষাদের ভায়োলিন,দু'হাত ভর্তি ঘা!
চুপচাপ আজ উপোস করে যাও,প্রেম নাহি কথা বলায়,
সাধুসঙ্গ যৌথ উদ্যোগ,সংশোধিত এসিড ধোয়া মন,নিম তলায়।


তোমারে দেখিলাম হঠাৎ করেই এসেছ কাঙালি ভোজে,
এতকাল তবে কেন হাপিত্যেশ ছিল তপ্ত রোদের খোঁজে?
কালের খেয়া ভাসেনি বলে চুপ ছিল রাজা বাহাদুর,
চলো মেয়ে আজ পালিয়ে যাই অরণ্যের অচিনপুর।






আশকোনা,বিমানবন্দর
২০/১/২০২২