বাহুল্য কর্ম প্রকাশ সাধনায়, তুমি তব যোগ্য আরাধনায়,
জঙ্গল পুড়ে হয়েছে ছাই, কে বা কার; কে কারে পাই!
চিত্রাঙ্ক জলে মুছে গিয়ে, বেহুলার নাকি আবার বিয়ে!
রমনীর চারচোখ খোলা, এ জনম পার,কবি আত্মভোলা।
গিরগিটি রং হরেক গেরুয়া, চালের গুঁড়া নাকি দন্তপাটি ভূয়া।
খুনখুনে বুড়ো চাল-এ আস্ত ঘর, মিঠাই মণ্ডা,তিতে না হয় পর।
ব্যস্ত দখলে হিংসার বাহার, চুলোর পাড়ে রঙিন আহার,
কে সামলায় গোস্ত ছাড়া ভর্তা, কে নেয় অংক না কষে কর্তা!
আগডুম বাগডুম মুখ ফ্যানা, কর্তার জামাখানি ম্রিয়মাণ ত্যানা।
হবুরে বলি শিখিয়ে মন্ত্র ভার, আধ্যাত্মিকতা চেপে আছে ঘাড়;
ভুতকর্ম সদা সিদ্ধ চোখেরজুৎ, রঙধনুতে কে ধরেছে খুত!
নয়ন আমার পায়না দেখিতে, চালের কি হাল হয় আজকাল ঢেকিতে?
গুড়ো গুড়ো খুত খুঁচিয়ে দেখে অন্তর, জানে তাহা অবোধ মন্তর।
বৃষ্টি বিলাস বসনে সাদা ধূতি, গলায় তাগার কয়েকখানা পুতি,
ঐদিকে মরা বাঘটাকে ধরেছে হায়েনা দল, কোথায় গিয়েছে আজ তার এত বল?
মৃত মুখ পরে থাক ভাগাড়ে, সুতোয় বুঝি টান ধরে না আহারে!
সপ্ত আসমান ভেদ করে খোদার কুদরতি পা, সুবোধ মাফি মাঙ সময় থাকতে যা।
আগামীরে চপেটাঘাত করলি কথায়, সাফল্যের ভার আজ কতটা হেথায়!
রঙিন আবরণে চুলের গোছা পাকা, সাবলীল কর্ম প্রকাশে হয় না বেঁচে থাকা।
মায়াময় প্রকাশ্য মৃত ঘুম, ব্যবধান দিবারাত্রির অসংকোচ করে চুম,
পরিণত মেধা বাহবা নেয়া মন, বেলাশেষে ভুলে যাই আমি-ই বা কে, কোন জন!






টঙ্গী বিসিক, ঢাকা।
১৭/১০/২০২১