ঝিরিঝিরি হাওয়া বইছিলো সেদিন, আমি দেখি কদম ফুল,আমার আলোকিত সূর্য গলে পরে গাছপাতার আড়াল ভেঙে।
হঠাৎ ভূত দেখার মত এত সৌন্দর্য দেখে চমকে ওঠা মন পরক্ষণেই ধুকপুক কমিয়ে প্রেম তরঙ্গে ভেসে যায় স্রোতের সাথে,
ভয় কেটে গেছে, এই নগরীতে এখন শুধুই প্রেম।
গত কয়েক শতক এই প্রেম ডুবে ছিলো মেঘে, হাঙরের পেটে!
এই দুঃসাহসিক অভিযান যোদ্ধা আমি, নক্ষত্র প্রেমিক।
ডুবুরি সংস্কৃতি তোমার মনে, আমি ডুবে যাই,বারবার সাঁতরে বাঁচি,এই সাগরের পানি নীল,তুমি নীলকন্যা।


জমানো বাঁধে প্রচুর স্রোতের চাপ, তুমি ভাঙবেই!  এত সৌন্দর্য কি বাঁধ দিয়ে আটকে থাকা মানায়?
আমাদের বাস হবে গহীন সমুদ্রের তলদেশের অক্টোপাসের সাথে, শ্যওলার সূতিকাগারে,অল্প অল্প জমিয়ে প্রেম,লাল কাঁকড়ার দুঃসাহসিক চোখে।
ইয়া বড় এক লেন্সের ক্যামেরাম্যান ধারণ করবে স্থিরচিত্রে! বহিষ্ঞু আলোড়ন।
এই প্রেম নিবে তুমি মাধবীলতা,? কালোগোলাপ আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তবে ব্যতিক্রমী আমি কেন নই!
আমি তো প্রচুর ভালোবাসতে জানি,পিরামিডের গভীরে অক্সিজেন ছাড়া এই হৃদপিণ্ড বেঁচে ছিলো এতকাল।


এতকাল পরে উদিত সূর্যমুখি ডুবে যাওয়ার আগে আমায় প্রখর রোদে ঘামতে হবে,
পুড়ে কয়লা হয়ে উনুনের তাপমাত্রায় চমৎকার একটা শেইপে নিজেকে গড়তে প্রস্তুত আমি।
আমায় লালা শিখার মত সৌন্দর্য দাও প্রেমিকা, না হয় তোমার হাঁড়িতে ফুটতে দাও, কৃষ্ণাঙ্গ গা আমার!
ধবধবে সাদায় মিশ্রিত কর্পূরে আশ্রয় দিও না হয়,তবু অহমিকা প্রেমটা আমায় দাও।
আমি নিবৃতে তোমার সাক্ষাৎ করি স্বপ্নে, বাস্তবে আর তৃষ্ণায়।






নিরিবিলি, নবীনগর
২/৩/২০২১