চিংড়ি যেমন লাউয়ের ঝোলে হাবুডুবু খায় তারে জল থেকে ডাঙায় আসার মরণ পিরিত কয়!
কব্জি ডুবিয়ে হরৎ হরৎ শব্দ তুলে খাওয়াটাও পেটের ভোজন পিরিত,কেমনে সয়!!


তাইলে কে বা কি প্রেমে পরলো কার?


জলের ঢেউয়ে ফ্যানাগুলো,এরেও পিরিত বলে, লেপ্টে পরা পরপর ডাঙায়,দৌড়ে এসে লাফিয়ে পরে কোল ছুরতে।
চর জাগা নদীটাও পিরিত করে, এত বছর আগলে রেখে জাগিয়ে দেয় পেট ফুঁড়ে দূরত্বে।


সব পিরিত, বহুমুখী পিরিত, খালি মনটা বলে পিরিতের পাতিল টা পাইলা না লক্ষীণদর।
বাতাসের সাথে হাওয়ার পিরিত, হাওয়া কয় তার জন্যই তোর সাথে যাতা দিয়া লেগে থাকি!
আয় আয় বাছা এই আমার ঘর।


গাছের সাথে মাটির পিরিত, পিরিতের ব্যামো আর কি!
মায়া কাড়া তিল, চোখ; তুমি কোন কাননের ঝি?


মাটি তো আরেক ঘাউড়া, বলে; আমার মত পিরিত কে আর করে,
আমি তো পিরিত করি মইরা যাওয়ারও পরে!


দেখো, কবিও পিরিত ডরে মৃত থাকে,শব্দগুলান নাকের ডগায় ঘুরপাক করে, তারপর ঝাঁপাই পরে কলম খাতায়।
ব্যাস্! কবিতা আগায় ডগায় হাঁটে, বড় হয়।
চলো কবিতা পড়ি দুইজন,ঝুম বৃষ্টিতে একটা ছাতায়।


তুমি পড়ো, আমিও পড়ি, নিথর হয় রাত, একদিন বহুত যত্নে আমাদের আসুক সুপ্রভাত,
হাঁটে দেখো সাপের নেউলে সুর, কি দেখায় সাপুড়ে যাদুকর, চোখের মেলেনা ফুসরত।


ওহে মাধবীর সুর, আমারে জাগাও, হেঁটে হেটে ফেরী করি তোমার শহর, আজ কি তোমার বন্ধ?
উকি দাও জানালায়, পথিকের গায়ে দেখো পিরিতের গন্ধ।





মোহাম্মদ পাড়া, গোপালগঞ্জ।
২৫/৩/২০২২