একবার পরিতোষের বাসায় একখানা ডায়েরির পৃষ্ঠায় চোখ বুলাতে গিয়ে দেখলাম,
একখানা প্রেমিকা হাতবদল হয়েছে।
সে গতকালই তার গার্লফ্রেন্ড ছিলো,পরেরদিন বিত্তশালী মথুর বাবুর একমাত্র ছেলের বউ!
বেশ বিয়ের সাজে, ফোঁটা ফোঁটা কপালে সাদা তিলচিহ্ন, আহা সে কি মনরঞ্জনী হাসি;
পুরনো ছবিখানা আর নতুন ছবিখানা পাশাপাশি কেটে রাখা,
লেখাগুলো একেকটা আফসোস চিহ্ন।
কলম চলছিলো না, লেপ্টে যাওয়া অক্ষর আকৃতির ভাবভঙ্গী দেখে এই জোয়ার বুঝে ফেলেছিলাম,
সে ক্রন্দনে ছিলো বহুরাত।
আফসোস,প্রথাগত সামাজিক ব্যধি ভেবে নিকটতমরা ধিক্কার জানালো, এই ব্রাক্ষ্মণের নাম কাটা গেল উঁচুস্তরে।
ধূলোজমা পৃষ্ঠায় হাহাকার কাঁদে,বিছানায় কঙ্কাল যুবকের মন! স্মৃতির পৃষ্ঠা কেন এত রাশভারী।
দমদম কলে ভিজিয়ে চরণ মুষ্টি করে জলীয়বাষ্প করার প্রচেষ্টাশত,তবু পরিতোষ না ঘুমিয়ে গিলে খায় রাত,
দেহ ঘুমায়,মন পাহাড়া দেয় নিষিদ্ধ স্মৃতি!
এভাবেই নিজের স্মৃতি খুঁজতে গিয়ে ইদুরে কাটা ডায়েরির পাতায় খুঁজে পেয়েছি সত্যনির্ণয় বাক্য-
আমি তোমায় ছাড়া থাকতে পারবো........... (না)।
এই "না" ছোট্ট ইদুর বাচ্চা অথবা তেলাপোকা কেটে আলাদা করে দিয়েছে,
প্রকৃতি আমাকে এভাবেই পথ বাতিয়ে দিয়েছে,এ এক মধুময় অলংকার।
পথ কি একা চলে? পথিক নিয়েই তার সমাপ্তি।






নিরিবিলি, নবীনগর
১৫/৪/২০২১