গুটিয়ে নিয়েছি মায়ার ধূমযোনি কোন এক হলদে বালুচরে,
শুনেছি মরুভূমি হয় রুক্ষ ভ্রম!
উষ্ট্র নাকি তৃষ্ণা মেটায় জমিয়ে দীর্ঘকাল।


স্মৃত নিয়ে আসুক কোন বৈরিতা এ চাওয়া নয়তো কোনকালে।
কাবুলিওয়ালা সেজে, ভাবছি ফেরি করবো চিকচিকে রোদ, কেউ তৃষ্ণায় ছুটবে মরিচিকায়!
এ আমায় পালের গাধায় রেখে দূর হতে রাজ্যের ঠিকানা দেয়।


একি ভেলকি নাকি সত্যি!
নিরঙ্কুশ কিছু কথা ফিকে হয়ে যায় প্রকৃতির চাদরে,
আচ্ছা!  খেকশিয়াল থাকে কি মরুর আন্ধারে?
ঔদ্ধত্য, বুনো শালিকের ঝাঁকের গলা ঊষালগ্নে প্রস্থানের সুর শোনায়, আসন্নমৃত্যু পরিণয়ের!


অনুতাপ জলে ডুবাই, জুঁইফুল কি শিলপাটায় বেটে পূজা হয়?
একনাগারে মন্ত্র উচ্চারণ করতে থাকলাম, মৃত আত্বা পাই জলের তলে,
পৌরাণিক কাহিনীতে যেমন মৃত কফিন জেগে উঠতো।
আজকাল কবির প্রেমিকা কি, চুলে শ্যাম্পু করতে আসবে না ঘাটে,
পানির কম্পন দেখি না এতকাল অপেক্ষায়।
এই রহস্য গুলিয়ে ফেলে কবির কবিতাগুলো পাগল হয়ে গেছে।


ললনা তোমার মলয়পর্বত কিঞ্চিৎ ক্ষণে এতটা বদলাতে পারে,
সে রহস্য আমি কখনো আমি ধাওয়া করিনি।
দুর্গা! দুর্গা!! বলে প্রতিদিন পূজারী থেকে পূজামণ্ডপ দাড় করিয়েছি।
তবে হু, একি;
আমি যে ডকুমেন্টারি গৃহস্থধর্মে লিপিবদ্ধ করতে কঠোর ছিলাম,
তার রিপোর্ট এত মায়াহীন কেন?


দিয়াশলাই কাঠি ক্ষণিক সময় আলো ছড়ালেও তাতে ভালোবাসা থাকে নিগুঢ়,
আঁচ সামান্য,উহা মনপুত করার অভ্যাস গড়তে হয়।
মশাল রূপটা বিস্ময়কর, দীর্ঘক্ষণ আলো ছড়াবে নিশ্চিত তবে যদি মনোভাব হিংস্র হয়ে ওঠে কখনো ওর,
ক্ষতিটা পরোক্ষ, তুমি বুঝতে পারলে না।
হ্যাঁ, এই জোছনাটা মিস করে বসলে,
গ্রহণ লেগেছে গ্রহণ।

যেই রহস্য কৈলাসপর্বতে গাঁটছড়া বাধে গুল্মলতায়,
তাহার ঘূর্ণিজাল,মৃত্যু মুখে পতিত হওয়া পিছলে যাওয়া পা।
একদল পৌরাণিক একটা মৃত কবিকে পেল মমিবিহীন কফিনে,
তবে ইতিহাস কি প্রেম হয়,নাকি প্রেম ইতিহাস হয়!
অন্দরমহলে পুরোহিত তো দেখি এসব নিয়েই যজ্ঞ করে।  


কিন্তু তুমি আমার একজনই, শেষ দেখা..........
আজ আমি আর বাস্তবতা দু'জন একইসময়ে মুখোমুখি গঞ্জনার,
সহজ আর সত্য মিশ্রিত এনাম যে পায়ে মাড়িয়ে যায় এতটুকু না ভেবে,
ভাবছি, তাকে বোকা বলবো নাকি আমি নিজেই নির্বোধ।





নিরিবিলি, নবীনগর
২৪-৬-২০২০