প্রেম! আমি শীতকণিকা ছুতে চাই বিভাগী জৈষ্ঠ্যে,
চরম প্রখরতা মেখে দাও গায়ে, স্নান হোক অতৃপ্ত ঘামে;
এই তপ্তদুপুর কিনে দিবো তোমায় মৃদু শীতলতায়,
তুমি বেহুলা কিনে নিও ভেলা, এই আমার কুষ্ঠি দামে!


প্রেম! অবিবেচক তুমি শরৎ এ ঝড়াও হুমহুম ঝড়বৃষ্টি,
গন্তব্য বহুত চাপা স্বভাবে বসে গেছে পাহাড় ধসে;
কট্টর কেউ জামানত চায় লেগে থাকা গায়ের ধূলোয়,
পুরনো সব পলেস্তারা মোর পরে গেছে হঠাৎ খসে!


প্রেম! উড়ন্ত বাজ পাখির তীব্র চোখে তাকিয়ে দেখো,
আমৃত্যু সিক্ততায় জলে ডুবে যাচ্ছে নোনতা ফোঁটা;
উষ্ণতা বহিসংসারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পদ্ম ছুঁয়ে দিলে,
রশ্মির আগ্রহে অপেক্ষা বাড়িয়েছে তাবৎ জিন্দেগী গোটা!


প্রেম! অলৌকিক মধ্যাকার্ষে দোদুল্যমান সরল দোলক,
গতির টান লম্বালম্বি এ সরলপ্রেম পাতামোড়া চাঁদোয়ার;
লগন মনসার বিষাক্ত কামড় টিকে যায় সূর্য সেনের বাস্তুভিটায়,
মনোকর্ষ বল হালে হাটে না,থেমে রয় আধো জোয়ালে ঘাড়!


প্রেম! তুমি বারো চাঁদের দ্যাশে ফেরী করো মুক্তাহার,
জনমের শাস্ত্র গ্রন্থ পড়ে শিকল দড়িটির টান টান বোধ;
লেজুড়বৃত্তিক ঘুড়ি ওড়ে কই ঝুলে যাওয়া শেষ বিকেল,
কি করিলে বলো হাসিমুখ দাবাচাল হবে পরিপূর্ণ শোধ!




নিরিবিলি, নবীনগর
২৭/৫/২০২১