সত্যান্বেষী চাবুক ঘা মেরে নিস্ফল, মন পাথরের দানাবাঁধা পাহাড়,
আঘাতের রকমারি হাট, এখানে ক্রেতাবিক্রেতার বচসা হয় না।
সুযোগে সে বেড়ে উঠে ছুটে গিয়ে মিশে যায় ঝর্ণাধারায়।
ঝুপঝুপ গহীনে শব্দরচনায় একটা লাবন্যময়ীকে ঘিরে তীব্র গল্প বিলাপ করে,
প্রেক্ষাপটে তাহারই রতিপ্রাসাদ মন।
এক পৌঢ় নিদানপক্ষে এর জন্যই জীবন আবেগে বেধে এতদূর এসেছে,
এই পথে অনেক বিড়ম্বনা,ব্যাকরণ।
জীবনের শেষ অংশের গ্রাফটা ভাবতে গিয়ে মস্তিষ্ক এতই শুন্য হলো,
অমাবশ্যায় চাঁদ কালো যাদুকর, চাঁদনী তারা খিটখিটে আলো;
সমুদ্রের জোড়া ঢেউ পাড় ভাঙে অনিচ্ছুক ধাক্কায়।
তফাতটুকু ম্যাওয়া গল্পের সেই লালসালুর সত্যযুগে।
প্রস্ফুটিত অনেক কলি-ই ঝরে যায়,
নিদারুন টানাপোড়নে বাড়িয়েছি প্রেমালাপ, যতটা বিস্মৃত হতে পারো।
হোক বৃথা পোড়া, আকাঙ্ক্ষার আগরবাতি কিংবা জ্বালিয়ে রাখা লণ্ঠন বাতি,
সে চলে যাক সান্ন্যিক ভুতের মতন,গাওগ্রামের ঋতুবদলে।
শামুক,ঝিনুকের ভিতরটা খোলস হতে যতটা দেরী,
তারপর -
এক রজনী সভায় লোক নৃত্য আর চাঁদনী গানের আসরে মোরা মিশে যাবো পুরনো দিনে,
আমরা হবো প্রথম প্রেম জমজ।




নিরিবিলি, নবীনগর।
২/৪/২২