এক বৃষ্টির বিয়ে হয়েছে শেয়াল ডাকা রাতে,তখন পানি উঠেছিলো না সুরঙ্গে,
বেঁচে ছিলো আফসোস সময়।
জলতরঙ্গের ডাক কে ফেরাতে পারে বলো!
এভাবেই প্রেম হয়ে ওঠা, রাত্রি জেগে বৃষ্টিবিলাস উপভোগ্য হয়ে ওঠে প্রেয়সীর কানের দুলের মতন শব্দে;
রিম ঝিম,ঝিম,ঝিম,
নূপুরের মতন মাদল তোলে বক্ষে রোপণ করা প্রেমের বীজ।


হতাহত হয় প্রকৃতির রূপ, তবু নতুন রূপে আহত হতে চায় ঋতু, খুন হয়ে যায় সময়,
এ খেলায় জিতে যায় অবশ্যম্ভাবী শিহরণ তোলা টাপুর টুপুর শব্দগুলো,
কবি ভাবে এসব শব্দ শুধু, আমি তোমাকে ভালোবাসি বলে!


বিলের কানা পরিপূর্ণ হয়ে এলে আনাচে কানাচে ব্যাঙাচিরা লিকলিকে খেলায় মত্ত হয়,
আবার ঝুপঝুপিয়ে বাদল নামে পরিচিত ঢঙে,রং লাগে মৎসকূলে।
এই বৃষ্টি কত বিস্তৃতি জুড়ে তেষ্টা মেটায়, জনাকীর্ণ মায়ায়।


বৃষ্টি ঘোমটা খুলে দাও,আমার বনলতা চুল ভেজাবে,
শাড়ি প্যাঁচানো কোমড়ে টুপ করে ঝড়ে যাও,আমি বড্ড তৃষ্ণার্ত!
মেঘদূত কন্যাকে নূনের মত স্বাদে-আস্বাদনে ঘিরে দাও,
প্রকৃতির কাছে কবি এর থেকে বেশি কিছু চায় না!


আমায় শীতল করো এক ফোঁটায়, হাজার হাজার বর্ষণ তো কান্নার-ও হয়,
অবনত ফোটায় ভরে উঠুক সজীব প্রাণ।
রাধের টিনের চালা উড়িয়ে দিয়ে বার্তা দাও আমি কৃষ্ণ তার ছাতা হয়ে আছি!
বৃষ্টির সাথে আমার কোন বৈরিতা নেই।





নিরিবিলি, নবীনগর
৫/৭/২০২০