আমি জানিনে সুরঙ্গ কিবা পথ কিভাবে তৈরি হয়
কে বা জমিনে পরিপূর্ণ ভালোবাসা পায়,
শুধু জানি মোর স্বর্ণসুধাময়ী মসৃণা প্রানসখী
ঔদার্য ভালোবাসা কারে কয়!


নতুন পূজা মণ্ডপ গড়েছি আমার ঘরে সখী
হাসনাহেনা আর বাতাবী লেবুর সনে,
নিত্য নতুন ভাবনাগুলি চিত্তরাজে
ডেকে ওঠে নিশীথ আলাপনে।


কুটির দ্বারে একখানা প্রেম প্রদীপ জ্বালিয়ে
এ অভাগা রেখেছিনু তোমার তরে,
দুর্গাময়ী সেই প্রতিমার পদচারণা হয়নি
ভূখণ্ড, কেন এতকাল পরে?


আমিতো পূজারী শিহরণী ভালোবাসার ওগো
টুকরো মেঘের শেষ বিকেলের আলোয়,
ভূবন প্রতিমা তুমি নিয়ো-গো আমায়
এ সন্ধ্যে, আপন প্রদীপ জ্বালো-য়।


এতকাল ধরে যে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা আছে
সাদামাটা সমতলের এ কুটিরের দ্বারে,
এক বিজলীক্ষণে তুমি এসে তুলে নিয়ো-গো সখী
আলোকিত আসনে,আমার ছোট্ট এই ঘরে।


নিজ কেতুগ্রহের মত সাজিয়ে নিও একালে
পাবনীর পাশে আমার কুটির ঘর,
পূজার সেই বাতাবীলেবুর ঘ্রাণে সৌবর্ণ চারিদিক
যেনো অস্পর্শী-বিমূর্ত,তুমি আমি নইকো পর।


হৈমবত,দক্ষিণের জানালায় আঁখি মেলে আছি
হ্রাদিনী এ প্রতিমার-ই অপেক্ষায়,
শকুন্তলা তবে মৃদু পায়ে আসলেনা কেন আজও
পূজার্হ হাতে লাগানো আমার বকুল গাছের ছায়।


প্রভাবজ অন্তঃস্থ গাছটি যে নুয়ে পরেছে আজ
প্রতারণা আর জনশূন্যময় বয়সের ভারে,
লোঠন যামিকায় বাসর যে খালি পরে আছে
বুঝলোনা সে, মন যে চায় শুধু তাহারে।


এখনও প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা তাহার-ই অপেক্ষায়
পাশরণ দিকস্থ মোর স্বপ্ন কুটির দ্বারে,
চতুস্তল বদ্ধ এ ঘর,তবু তুমি যদি চাও হবে গো বাসর
কাকুক্তি আজি আমার,এপারে না হয় ওপারে।





নিরিবিলি, নবীনগর
১০/৭/২০২০
শুকুরসী,ঢাকা
১৩/৩/২০১৩