না লাগিল রূপ বাক্সে গোলাবারুদ, দখল অবচেতন
আড়িয়াল বিলে বোয়ালের ঝাঁক, বরশির ওড়ে কেতন।
দীঘল তার কেশ রঙিন চোখে কে জানি মায়া রেখেছে খুব,
ঘোর কুয়াশায় মিশে যায় দৃষ্টি, কল্পনা এক পঞ্চভূত!


দিল তো রঙচটা ট্র্যাকস্যুটে চড়ে যেতে চায় বৃন্দাবন
কালো চশমায় চোখ আড়াল করে থাকে প্রেমিকার মন।
হাতের মুঠোতে স্বপ্ন চিপে দেখি, মেল্টডাউনে কত তাপ
মুখের ভাষা খারাপ হতে হতে আজ ঠেকেছে, *** বাপ!


রয় না তবুও মগজের ঢেউ, কাগজ পোড়ানো দিয়াশলাই,
প্রতিদিন কত জোচ্চুরি করে অপরাধ চিবিয়ে গিলে খাই।
হঠাৎ; রূপ যেন কি বলতে এসে খেয়ে গেল এক ঝাড়ি,
প্রেম কি সহজ ঝড়ের মত ধূলো উড়িয়ে চলে গেছে বাড়ি।


কে দিয়েছে তারে মনোহরী ফিতা আটকাতে চুলের ভাজ,
আগাছায় ছেয়ে গেছে তাই ভীষণ যত্নের ওলটকম্বল  গাছ।
মধুচাকে ঢিল মেরেছি, বাসন্তীরে দেখিবার লাগি এ হাল,
ছোঁড়া ঢিল কে কুঁড়োয়,সাবধান! ফুলে উঠেছে এক গাল।


নমস্তে বলে পিছে ফিরিয়া দিয়েছে একগাল গালি,
তারে তুমি ভাবো পণ্ডিত গুরু সোহবাত কা' অলি।
মুখ তার প্রিয় সুখ, কে নিয়েছে রক্তাক্ত জখম এ দিল,
আসমানে দেখো তারাদের মেলা, দরজাটা কেন খিল?


কতদিন পরে সন্ধ্যা নামিল, জানালায় দিয়ে উঁকি,
সিগারেট নাকি নেশার খোঁজে ধোঁয়াই শুধু ফুঁকি।
নিকোটিন নাকি জ্বালিয়ে মারে ঘিলুর কৃষ্ণগহ্বর
ফেরারি চোখ খোঁজে যে কারে, কবিরে করে পর!


কার কৃষ্ণ রূপ দ্বৈপায়নে মেশে কবির স্বপ্নে এসে,
দেখো দেখো গাঙে মরা লাশ,ভেলায় চড়িয়া ভাসে।
পাহিবে না তারে বাইদানী রানী, মোহাব্বত কা খেল,
কাঠঠোকরা ঠুকে গেছে ঠোঁট, কার মাথায় পাকা বেল!


সবুর করিয়া ধুঁকে মরেছে ছাপোষা বিড়াল খানা,
কতদিন ধরে কবিতা কাঁদে, ছন্দ পায় না দানা।
নতুন করে কে ভাবিবে অনাড়ম্বর শব্দের ভবিষ্যৎ,
বাজিকর খেলা কবিতায় খেলে,কফিনে কবি মৃত অকস্মাৎ!






কলমা, সাভার
২৭/২/২০২২