যদি শহরটার মালিকানা আমার হতো,
জ্যামিতিক নকশার ট্রাফিক বিহীন, ধূলা নিঃসরণের নিন্ম মাত্রা ছুঁয়ে,যতশত বর্জ ট্রাকের পর ট্রাক এসে ফেলে দেয় হেমায়েতপুরের ভাগাড়ে!
এসব ফুলেল সুবাসে সুবাসিত হোক, ঘ্রাণ নেই মন ভরে, দুফোঁটা নিঃশ্বাস ও।
অতঃপর শহরটা উপঢৌকন হিসেবে তোমায় দিয়ে বলি,
এই শহরটা আমাদের হোক।


ঘর ছেড়ে দু'চাকায় বা চারচাকায় কিংবা নাইবা হোক এসব,
তিনচাকায় হুট তুলে রোদসামলে চলি, আকাশটা মেঘে মেঘে ছেয়ে গেলে,তোমার তুলতুলে অঙ্গখানি ভিজিয়ে নিয়ে ঢুকে পরি স্পাইসি কোন রেস্টুরেন্টে।
ওদের চেঞ্জ রুম আছে তো; সামান্য কাজলের সরুকাজ একে নিয়ে আবার স্যুপ বাটিতে চুমুক দিয়ে ভুলে যাই আমরা মধ্যবিত্ত!
এই শহরটা আমাদের হোক।


ভোর না হওয়া সকালে হন্তদন্ত হয়ে খুচরো কিছু পয়সার ঝুনঝুন আর হরেক মানুষের আনাগোনা মিলিয়ে,
কাওরানবাজার,যাত্রাবাড়ী,মগবাজার,সাভার,ফুলতলী,গাবতলী,সদরঘাট,
বা উত্তরা,বনানী,গুলশান চষে বেড়াই কোন স্বপ্ন তে!
অথবা ফেরীওয়ালার ভ্যানগাড়িতে আধা শুকনো সবজির বাহারে গ্যাসের চুলাখানা জ্বলুক!
সয়াবিন তেলের উত্তাপ আগুনে মাখিয়ে ছোটমাছ, ভর্তা,ডালের মিশ্রণে পেটপুরে ঢেঁকুর তুলি।
চিৎ হয়ে দু'জন পাশাপাশি শুয়ে তৃপ্তিতে বলে ফেলি,
এই শহরটা আমাদের হোক।


রেললাইন ধরে হেঁটে গিয়ে ঢুকে পরি অচেনা গলি,
প্রশস্ত হাইওয়ে বানিয়ে ফেলি যুগলের ওয়াকওয়ে।
ল্যাম্পপোস্ট, হলুদ বাতি,নীল বাতি,সাদা বাতি জ্বলুক বা লোডশেডিংয়ে মরে যাক রাত!
জোছনা জাগিয়ে রাখুক শহর,কিছু জোনাকি মরিচবাতির মত টিপটিপ করে ভালোবাসা জাগিয়ে রাখুক।
তারপর বুকে মুখ চেপে ঘুমিয়ে, স্বপ্ন আঁকি সাই সাই করে আকাশ ফুঁড়ে বের হওয়া বিল্ডিংটার মতন,
এ এক মিসরি যাদু।
এই শহরটা আমাদের হোক।






নিরিবিলি, নবীনগর
১০/৫/২০২২