কুষ্ঠ রোগের অহমিকা কেন ছিলো?
চাতাল থেকে ধরপাকড়ে জীবন্ত মানুষকে লাশ বানিয়ে ফেলা সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র!
আচ্ছা মৃত্যুতে কষ্ট বেশি নাকি মৃত যন্ত্রণায়?
শোয়ার বালিশটা মুখে চেপে কান্না কতদিন লুকিয়ে রেখে প্রভাত দেখা যায়,
এ এক করুন জবানবন্দি,তার হৃদযন্ত্র চলছে অতিসাবধানে,আর কতদিন এভাবে ঝুলন্ত!


কাগজের ছাপায় পত্রিকা হয়ে যায় নিত্যদিন, তাহার অবউষ্ণ অঞ্চলের খোঁজ প্রেমিকা জানে না,
ঘুমন্ত শহর জেনে যায় সব!
কোলাহল থেমে গেছে, হঠাৎ সব ম্যানিকুইনের মত ঝাপসা আলোকবাতি,
নিভে যাচ্ছে,শহরের কঙ্কাল খালের মত।
আর আবর্জনা সব দু'কদম সম্মুখে!


পাখিটা তেষ্টা মেটাতে এসে গলায় ফাস নিয়ে উড়ে গেছে,
শুনেছি কোন রমণীর উঠন্ত চুলগুলো ফেলা হয়েছিল এখানে,
তাহাকে নির্দয় বলা চলে না!
মহাযত্নে এগুলো ছাড়িয়ে জীবন বাঁচিয়ে দেয়া প্রেমিকের প্রেমিকাটা খাঁচার দুয়ার খোলা দেখতে চায়;
মুখটা লুকিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলাম, কি হয়!
খোলা দরজায় নেই আজ রমনীর পা,এলোমেলো চুলগুলো নেই বাহারি, এককাপ চা-ও নেই সকালে।
মরুভূমির উট তাই পানি জমায়!


কাকের ডাকগুলো নিস্তব্ধ, কুয়াশা জানালার কাচ স্পর্শ করে না আর,
মোবাইলটা অত রাত অবধি জেগে থাকে না!
ডিমলাইট নিষিদ্ধ হয়ে গেছে এই রাতে,চোখগুলো জেগে জেগেও মরে যায়,
কিছু দেখতে পায় না।
দিনের আলোও একপাক্ষিক হয়ে আছে,প্রেমিক কবিতার বইগুলো নাড়ে না, হাতকড়া।
এই পুরো শহরটা জেল হয়ে গেছে!






স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
১০/৮/২০২০