হঠাৎ তাকিয়ে দেখি পুরাতন এক বাতাস বইছে আমার চুলে,ঠোঁট কম্পমান অগ্নি শরীর,মেজবানি দাওয়াত,
কে না বাঁচে তাহার বেনীর আড়ালে!
শুকিয়ে খোঁপা হয়েছে পর্বত ছায়া কৃষ্ণমূর্তি রূপ,আর কখনো সুবাস বিলাবে বলে কথা দেয়নি।
ফুরিয়ে যাওয়া লজ্জাবতী ঘোমটা মেখে আছে লজ্জার,বিকল লজ্জা! সেখানে সবৃন্ত দেয়া আছে কাটার বাহারে আর মাইন পোঁতা প্রত্যেক কদমে!
তার জীবনটা বাঁচিয়ে তোলার দায়িত্ব নিলাম।
একটা যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছালো অসম বণ্টন,বিকল মেশিনের চরকা ঘোরে না সহসা!
ভোজবাজি সব ঘোল খাওয়ায়ে ছেড়েছে রাজকন্যা, তাহারে; কত যতন ছিলো ঘটিবাটিতে মাখানো কষা মাংসের ঝোলে!
এমনই ভিত্তিহীন দুর্বল ঘ্রাণ সহজ সমীকরণে পাতিলের তলায় অবশিষ্ট রইলো না, পরিপূর্ণতা তাহার মিশিলো শহুরে হাওয়ায়।
কলকব্জা নড়ে না, অসার শরীর হলে ঘুনে ধরে শেষ করে দিতো, জং ধরে ক্ষয়ে যেত রুক্ষ স্বভাবে;
তবে এ যে কলি রাধাচূড়া মুখ! মস্তিষ্ক অসার করে রেখে দিয়েছে ঘূর্ণায়মান চক্করে।
যাহা ভাবে মন,তাহা ভোজপুরী সিন্নির মত খেতে ইচ্ছে হয় তবে গেলা যায় না এই ঋতুতে!
পৃথিবী তো এমনই এক গোলার্ধে রুক্ষতা এলে অন্য পাশে রৌদ্র হাসে।
আমি না হয় হন্ডুরাসে আছি! শাপলার বিল দেখি না, বাংলা প্রেমের উপন্যাস পড়ি না, পরিচিত চোখের যুতসই চাহনী মনে কপাট দেয় না,এত ভালোবাসার সিড়ি বেয়ে রাজকুমারীর চুল বেনী আঁচড়াতে যাই না;
কিছুই হয় না, শুধু ফেরারী তাঁরাদের দেখি সজলনেত্রে।





স্টারলিং লন্ড্রি লিমিটেড
৯/১১/২০২০