সুপ্তির মাধুরি মিশিয়ে মনের এই রঙিন পৃষ্ঠায় এলোমেলো কিছু আঁকি,
হয়ে যায় তোমার ছবি!
ঐ দূর আসমানে তাকিয়ে থাকি নির্বিকার; বৃষ্টি,রোদ কিংবা শুভ্র মেঘের মাঝেও দেখি নির্মল তোমার ছবি।
আমি এখন স্বতঃসিদ্ধ হয়ে গেছি আত্মবশ স্থায়ীত্বে,
কান খাড়া হয় ঐ মেঘে ডাকে তোমার কণ্ঠস্বর,
আমি স্বঃ পাই বচনে!
কি স্ময়! কি স্ময়!!  তোমা সৌরভের।
এই বিদীর্ণ একফোঁটা জলরাশি তুমি হয়ে যখন ঝড়ে পরো আমার ক্লান্ত,শ্রান্ত এ দেহে,
পরশে আমার মন, শরীর লম্বৌষ্ঠ হয়ে ওঠে।
হাসি বাটখারায় তুলি,ওজন মাপিবার প্রয়াস পাই;
হঠাৎ বৃষ্টি থেমে যায়,
রৌদ্রময় আকাশ ঘিরে ধরে আমাকে,
কৈফিয়ত চায়,কেন আমি বাজখাঁই বৃষ্টিতে খুঁজি প্রিয়তমাকে!
বলে এই বাগদান তো আলোতে ফোঁটে,
খুঁজেই দেখ না,এখানেই এই কাঠফাট্টা রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে অপেক্ষারত প্রিয়া!


আমি খুঁজতে থাকি,
মন চায়;
কোন এক কুঁড়েঘরে তুমি আমি নিবাস সাজাই,
গোধূলির আলোমাখা আসমানে নিভু নিভু সূর্যের মাঝেও
মেঘের শুভ্র,রোদের উজ্জ্বল,এ পবিত্র মুখখানি ঝলকায়।
কি এক স্বরস্বতী ভালোবাসা লুক্কায়িত তার মাঝে।
অল্পদর্শী ভাবনায় কখন যে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে,
টের পাই না,
এর মাঝে ধাতকী লুকিয়ে যায়!
নিগুঢ় অন্ধকার চারিদিকে টিপটিপ করে,
রাত তো আর বসে থাকে না।
নিয়তির টান খড়িমাটি মাখানো দ্বারে,রাতঘুমের ভারে;
কি এক অদ্ভুত অদৃশ্য শিহরণ!
আর তোমার তাজা স্মৃতি জ্যান্ত ভালোবাসার দাগ কাঁটে,
অবচেতন মনে কখন যে ঘুমিয়ে পরি তা ঢের ভুলে যাই প্রভাতে,
বিভোর দু'চোখে কত যে স্বপ্নরা জাল বুনে,তোমায় আটকাতে, জানে তা ধর্মাবতার।


আমি যুধিষ্ঠির কাছে উদগ্রীব,
আমায় নিয়ে চিন্তায় মগ্ন আসমান!
এত প্রেম হয় ভূখণ্ডে, ডহরে চুবিয়ে প্রেম কাবু করো; এ আদেশ অদৃশ্যের।
তুবুও তোমার গহ্বরে তলিয়ে যাই আমি, চিকীর্ষু হই তোমার হৃদের বাঁধ ভেঙ্গে হাবুডুবু খাই!
আমি আবার প্রেমে পরি,আবার পরি! আবারো পরি!!
চিত্র হয় প্রেমিকা! আমি শান্ত হই;
স্বঃ পাই বচনে তোমার।






নিরিবিলি, নবীনগর
৫-৬-২০২০
শুকুরসী
১৭-৫-২০০৯