তোমার হলুদ মিশে আছে মোর রাগিণী বারান্দায়,
দাও না ঘোমটা ওগো অনুরাগী।
চোখ টিপটিপ মিটিমিটি তারা রাতের গভীরে জ্বলে জোনাই পোকার মত,
রাত যত গভীর হয় প্রেম সজীব হয়;
প্রেমিকের আবদার বাড়ে,প্রেমিকা প্রলুব্ধ হরিণী হয় সতেজ প্রকৃতির মত।
একটা রক্তে মাংসে গড়া মানুষ সবুজাভ হয়, নিঃশ্বাস বাড়ে নিভু নিভু চাঁদে।
আমার চোখ নামে না বারান্দার গ্রিল হতে!
কে তুমি আগমনী!


আমার সন্ধ্যা খাবার জমে যায় প্লেটের ধোঁয়া শরীরে,
তোমার হাত স্পর্শ করে না কেন? প্রশ্ন করে জমে যাওয়া খাদ্যপ্লেট।
আমার খুব কাঁপন ধরেছে কনকনে শীতে, অতিথি নেই এখানে,
সব জড় পদার্থ গোমড়ামুখে কাঁদে।
ওরা একটা হাত চায়,শিকোয় তোলা হাত,
গ্রিল বারান্দায় মেহেন্দি পরা নতুন একটা আলতো হাত!
এ ক্ষুধার্থ মুখ, অল্প সিদ্ধ মাখানো ভাত তুলে কেউ খাওয়ায়ে দিবে, সেই অপেক্ষায়।


আমার চুলোয় পানি ফোটে না,এ তো ঢের দূরের কথা,
আগুনই তো জ্বলে না!
স্টমাক তো স্ট্রাইক করে বসে আছে,খাবে না আর,
জ্বলে যাক সব,শুকিয়ে অসার হয়ে যাক দেহখানি।
তুমি ছাড়া মানবেতর জীবন মেনে নিবে যুবক,হাজারটা বার।
একসময়ের কল্পনা এখন আর কল্পনা নয়, বাস্তব হতে চায় অসম্ভবভাবে,
কড়াইয়ে তেল চড়িয়েছি বাকিটুকু তুলে দাও এক্ষুনি,
নয়তো পুরে যাবে সব অপেক্ষা!


জানো কি তুমি? আমার হলদেপাখি!
এরা সব অপেক্ষায়!অপেক্ষায়!!গভীর অপেক্ষায়!!!




ধনিয়া, কোহিনুর গেইট
শাহজাহান হাউজ
২৭-৬-২০২০