শূন্যতা! বকের সাদা ধবধবে শরীরে বসবাস।
একগুচ্ছ বেয়ে ওঠা ঘাসগুল্মের মাঝে গলা উঁচানো পাহাড়া,নিজেকেই নিজে!
শিকারীর ভয়ার্ত ক্ষুধা, উড়ে উড়ে চলে গেল নিহাস।
পা কি রমনীর চুলে পেঁচিয়ে আছে বক? গিয়েছিলে জানালায়; নিয়ম ভেঙে তোমার গুচ্ছ দলের।


শূন্যতা! কদমে কদমে খালি গোড়ালি আর আঙুলের মাঝে বিশাল ফাঁকফোকর,
ধূলারা সেখানে স্থান নিতে মারামারি করে না, শূন্যতা।
কয়েককদম দূরে নাকি তুমি থাকো, বেড়ালের পশমের মত ভেসে ভেসে তুষপাতি হয়ে যাও।
খড়কুটো; জল খেয়া নড়ে কি বৈঠার কলে? থামাও মাঝি! চলো পুড়িয়ে দেই অপূর্ণতা।


শূন্যতা! গলে যায় উত্তপ্ত লাভায়,বেয়ে বেয়ে নেমে আসে বিস্তৃত জলাবদ্ধতায়।
ঠান্ডা শীতল শয্যা হবে কি মৃত্যুর মিছিলে?
একগাল হেসে উড়িয়ে দেই ছাই,কালো চেহেরায় কালো মিশে মহাশূন্যতায় যান্ত্রিক মন।
বৈশ্বিক ধোঁয়া বেরুচ্ছে খাপছাড়া গোছে,কারে মেরে ফেল প্রিয়জন!


শূন্যতা! বরাবর আয়ুকালে কতবার হানা দেয় নিয়মমাফিক কদর্যে।
পিতম্বরা সবুজে গালগল্পে মিশে যাওয়া হাঁসের পালক পেয়েছি একখানা,চিঠি লিখবো!
শুনেছি, শেয়াল নিয়ে গিয়েছিল বহুকাল আগে,এখানেই তৈরী হয়েছিল প্রিয় শূন্যতা।






নিরিবিলি, নবীনগর
২১/৫/২০২১