ব্যস্ত কোলাহল রাস্তার একপাশে সেই
তিনতলা ছাদহীন বিল্ডিং,
মনে পড়ে তোমার?
আমার ন্যাকা ন্যাকা ভাব,তোমার আদূরে স্বভাব
দিয়েছি মেরে চোখ,
মন কি মরেছে আমার?


দিনের রঙ মানুষটাকে কি সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায়
চলন্ত গাড়ির চাকায় পিচে ফেলেছ,
এই যে মেয়ে, কি বলছি শুনতে পাচ্ছো?
এমন রূপ হুরের হয়,শুনেছি,দেখিনি;সূর্য বলেছে আমায়
তোমার গতরে নাকি রোদ জ্বলে,
তবে বাসন্তী শাড়ীতে কোথায় যাচ্ছো?


মৃদু বৃষ্টিতে খুঁজি দুটো আঁখি, কই হরিণী! ছাতাহীন তুমি
আশ্রয় দাও গাঢ় লিপস্টিকে,
হয়ে যাবে কি এ দৃষ্টিভ্রম খুব?
ইটের ভাটায় তীব্র লেলিহান শিখা জ্বলে,পোড়ে ছাতি বুক
জাপটে আছি শিকলপায়ে,
আমাকে পোড়াবে কি প্রিয়তমা সুখ?


এ পৃথিবী থমকে গিয়েছিল মনের পান্থনিবাসে,চরণ ধূলি জমাই
সুসিদ্ধ করি ধাষ্ট্য ফোয়ারা,
লাজুক মন কি ওড়ায় ধোঁয়া?
এিবেণী তোমাতে স্থির হতে পায় না জল,গুচ্ছ তোপ;
আরশোলা ঘার মটকায় শুনেছ,
দিবে কি তীর্যক ত্রপা ছোঁয়া?


হাটছো নাকি খেলছো ধরণী,মিছে বরশীর ছিপে টোপ
এলাচি পেস্তা বাদাম পিশে রাখো,
ধরা পরবে নাকি এক বোকা?
তেল মালিসে সালিস বসে যদি,হিতাকাঙ্ক্ষী গৃহছিদ্র করে
চোর পুলিশের গুলিতে কুপোকাত,
বললে এসব কিছুই কি ধোঁকা?


গুরুতর রাশি ধাবিলো সাহিত্যে,বায়ু দেবতায় গোলাপের ঋণ
জিজ্ঞেস করেছিলে তুমি,
পড়েছিলাম কি প্রেমের রিডিং?
আমি দেখি পায়ের পেশিতে জখম টান,পলক সটান
গৃহে জমে দিনের পর দিন,
স্মৃতিজড়ানো ফার্মগেটের তিনতলা ছাদহীন বিল্ডিং?!





নিরিবিলি, নবীনগর
১৪-৬-২০২০